You are currently viewing দ্য লিটল বুক দ্যাট বিটস দ্য মার্কেট : জোয়েল গ্রিনব্ল্যাট

দ্য লিটল বুক দ্যাট বিটস দ্য মার্কেট : জোয়েল গ্রিনব্ল্যাট

দ্য লিটল বুক দ্যাট বিটস দ্য মার্কেট

দ্য লিটল বুক দ্যাট বিটস দ্য মার্কেট বইটি বিনিয়োগের জগতে অন্যতম একটি ক্লাসিক। আপনি যদি বিনিয়োগের ব্যাপারে ছোট কিন্তু চমৎকার কোন বই পড়তে চান, তাহলে সঠিক বইয়ের সন্ধান আপনি পেয়ে গেছেন। বিখ্যাত এই বইটি লেখেন জোয়েল গ্রিনব্ল্যাট, ২০০৫ সালে। এই বই থেকে জোয়েল গ্রিনব্ল্যাটের অত্যন্ত মূল্যবান ম্যাজিক ফর্মুলা সম্পর্কে আপনি ধারণা পেতে পারেন যা প্রয়োগ করা সহজ এবং কার্যকর। এই ফর্মুলা যদি আপনি ধৈর্য সহকারে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে অবশ্যই তা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী লাভ এনে দিতে পারে। বইটিতে বলা হয়েছে এমন বিশেষ ধারণাগুলি সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করবো।

সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ওপেন করুনhttps://tinyurl.com/y38db6k9

তার আগে জেনে নেবো লেখক জোয়েল গ্রিনব্ল্যাট সম্পর্কে কিছু কথা-

 

জোয়েল গ্রিনব্ল্যাট (দ্য লিটল বুক দ্যাট বিটস দ্য মার্কেট)

আমেরিকান বিনিয়োগকারী জোয়েল গ্রিনব্ল্যাট একজন সুদক্ষ লেখক এবং একই সঙ্গে হেজ ফান্ড ম্যানেজার। ১৯৮৫ সালে তিনি Gotham Capital  নামে একটি একটি বিনিয়োগ কোম্পানি শুরু করেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে এই ফার্মটি ২০ বছরে চল্লিশ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন দেয়।

দ্য লিটল বুক দ্যাট বিটস দ্য মার্কেট বইটি যখন ২০০৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়, সেসময় এটি পাঠক মহলে ভীষণ রকম সাড়া ফেলে এবং বেস্ট সেলার একটি বই হয়ে ওঠে। আজ অবধি বইটির লক্ষাধিক কপি বাজারে বিক্রি হয়েছে। বইটি একটি সাধারণ গল্প বলার বিন্যাসে লেখা হয়েছে যাতে যে কোন পাঠকই সহজে পড়তে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন। জোয়েল তার সন্তানদের উদ্দেশ্যে বইটি উৎসর্গ করেছেন।

আরো পড়ুন – দ্য সাইকোলজি অফ মানি : মরগান হাউসেল

 

দ্য লিটল বুক দ্যাট বিটস দ্য মার্কেট বইটির সারংশ

বিনিয়োগের মূল্যবান কৌশলকে সহজ সরল ভাষায় বুঝতে হলে এটি আপনার জন্য একটি উৎকৃষ্ট বই হতে পারে। এখানে বিনিয়োগ সংক্রান্ত জ্ঞান সম্পর্কে অত্যন্ত সরল শব্দে ব্যখ্যা করা হয়েছে, যাতে করে যে কেউ খুব সহজেই এটি পড়তে পারে। এমনকি একটি শিশুও।

  • বইয়ের শুরুটা হয়েছে এমন ভাবে, যে আপনি আপনার অর্থ দিয়ে ঠিক কি কি করতে পারেন। মানে ঠিক কোন কোন উপায়ে বা কোন খাতে আপনি আপনার গচ্ছিত টাকা ব্যয় করতে পারেন। প্রথমত, আপনি এটি নিজের কাছেই রেখে দিতে পারেন, যদিও এটিকে তেমন কোন ভালো উপায় হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। তবে ভালো কি? ভালো উপায় হল এটি ব্যাঙ্কে রাখা বা কোন সরকারি বন্ড কেনা, কেননা এটি অনেক বেশি ঝুঁকিমুক্ত। এছাড়া অন্যান্য কোম্পানির বন্ড কেনা যেতে পারে। তাতে লাভ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঠিকই, তবে হারানোর ঝুঁকিও কিন্তু কম নয়। সুতরাং ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

 

  • এরপর আছে আপনার অর্থকে আরো ভালো ভাবে কাজে লাগানোর জন্য সাজেশন যা থেকে আপনি আরো ভালো লাভ পেতে পারেন। এটি হল কোন ব্যবসায় শেয়ার কিনে অর্থ বিনিয়োগ করা। কোন শেয়ার কিনছেন মানে আসলে আপনি সেই ব্যবসার একটি অংশ কিনে নিচ্ছেন যা আগামীতে আপনাকে সেই অনুপাতে রিটার্ন দেবে। বিনিয়োগ করা অর্থের থেকে বেশি রিটার্ন পাওয়ার জন্য সরকারি বন্ড অপেক্ষা শেয়ার কেনা দুর্দান্ত একটি উপায়। তবে একটি ব্যবসা ভবিষ্যতে কত উপার্জন করবে, ব্যবসার মূল্য কত হবে তা অনুমান করে সাবধানতা্র  সঙ্গে পা ফেলতে হবে।

আরো পড়ুন –Angel One অ্যাপের সাহায্য বিনামূল্যে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলুন, পাবেন ছাড়

  • কোন একটি ব্যবসার ভবিষ্যৎ আয়ের অনুমান করা যে আসলেই একটি সহজ কাজ নয়, সে সম্পর্কে কিছু ধারণা পাঠকের জন্য দেওয়া হয়েছে। স্টক মার্কেটে কোন একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম সাধারণত কম মূল্য থেকে বেশি মূল্যের হয়। আর এই ঘটনা কখনও মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেও ঘটে থাকে। ফলত লেখক এখানে বড় ডিসকাউন্টে শেয়ার কেনার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে করে তা বিনিয়োগকারীর জন্য অনেক বেশি লাভজনক হতে পারে।

 

  • এছাড়া শেখার আছে যে লাভজনক ভাবে বিনিয়োগের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি। প্রথমটি হল, ভালো কোম্পানি নির্বাচন করা। আর দ্বিতীয়টি, সেই ভালো কোম্পানির শেয়ার কেনা। কিন্তু বুঝবেন কি করে যে কোন কোম্পানি আসলেই “ভালো কোম্পানি” কিনা। সে প্রসঙ্গেও লেখক বলেছেন। একটি ভালো কোম্পানি হল যার মূলধনের উপর উচ্চ রিটার্ন রয়েছে। যে কোম্পানির মূলধনের উপর রিটার্নের পরিমাণ যত বেশি, সেই কোম্পানি তত বেশি ভালো।

 

  • এবার আসা যাক “ম্যাজিক ফর্মুলা” প্রসঙ্গে, যা এই বইটির আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু। এই বইয়ে লেখক এই বিষয়টির উপরেই বেশি ফোকাস করেছেন। প্রথমে লেখক বেন গ্রাহাম ও তাঁর নিজের ম্যাজিক ফর্মুলার কথা বলেছেন। এখানে তিনি অত্যন্ত কম দর কষাকষিতে শেয়ার কেনার ব্যাপারে বলেছেন যা তাঁকে উচ্চ মুনাফা এবং কম ঝুঁকি সুনিশ্চিত করেছিল। তবে সমস্যা হল আজকের সময়ে এটি তেমন কার্যকর নাও হতে পারে, কেননা ফর্মুলাটি মহামন্দার সময়ে ব্যবহৃত হয়েছিল যখন অর্থনৈতিক পতনের কারণে স্টক অনেক বেশি সস্তা হয়েছিল। এবার লেখক ফর্মুলাটির পরিবর্তন করেন, কারণ আপনার জন্যও এটিকে কার্যকর করতে হবে তো। এখানে তিনি সবচেয়ে ভালো কোম্পানিগুলির র‍্যাঙ্কিং করেছেন। প্রথমে কোম্পানিগুলির মূলধনের উপর রিটার্নের ভিত্তিতে এবং তারপর তাদের আয়ের ফলনের উপর ভিত্তি করে র‍্যাঙ্কিং করেছেন এবং এগুলিকেই বিনিয়োগের জন্য সেরা হিসেবে বিবেচনা করেছেন।

 

  • শুধু ফর্মুলা হলেই তো হল না, তা আসলেই কাজ করছে কিনা সেটাও তো দেখতে হবে। এরপর লেখক বিভিন্ন কোম্পানিতে এই ফর্মুলা প্রয়োগ করে দেখান যে ১৭ বছর ধরে এই ফর্মুলা কাজে লাগিয়ে তিনি চমৎকার ফল পেয়েছেন। দেখা যায় সেরা র‍্যাঙ্কের কোম্পানিগুলি সবচেয়ে ভালো ফল দিয়েছে এবং সূত্রটি সত্যিই কার্যকর প্রমানিত হয়েছে।

 

বিনিয়োগ সম্পর্কিত বাংলায় বুক সামারি পড়ুন –

১) রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড :রবার্ট টি কিয়োসাকি

 

২)কমন স্টকস অ্যান্ড আনকমন প্রফিটস

 

৩)The Warren Buffett Way :Robert G. Hagstrom

 

৪)পিটার লিঞ্চঃ লার্ন টু আর্ন

 

৫)দ্য ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর: বেঞ্জামিন গ্রাহাম

*দ্য লিটল বুক দ্যাট বিটস দ্য মার্কেট *দ্য লিটল বুক দ্যাট বিটস দ্য মার্কেট *দ্য লিটল বুক দ্যাট বিটস দ্য মার্কেট *দ্য লিটল বুক দ্যাট বিটস দ্য মার্কেট

This Post Has 2 Comments

Leave a Reply