একটি কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের শেয়ার ইস্যু করতে পারে । আজকের ব্লগে আমরা বিভিন্ন ধরনের শেয়ারের নাম এবং তাদের সম্পর্কে জানবো –
Table of Contents
সাধারন শেয়ার (Ordinary Shares)
সাধারন শেয়ার হল সবচেয়ে সাধারন ধরনের শেয়ার । তাঁরা সাধারণত ভোটের অধিকার বহন করে কিন্ত শেয়ারহোল্ডারদের লাভাংশ্য পাওয়ার বা দাবি করার অধিকার দেয় না ।
সাধারন শেয়ারহোল্ডাররা প্রেফারেন্স শেয়ারহোল্ডারদের তুলনায় কম ডিভিডেন্ড পায় । কোম্পানিগুলি তাদের সাধারন শেয়ারকে বিভিন্ন শ্রেনিতে ভাগ করতে পারে এবং প্রতিটি শ্রেনীর সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন অধিকারের সাথে ।
প্রেফারেন্স শেয়ার (Preference Shares)
প্রেফারেন্স শেয়ার ধারককে কিছু অগ্রধিকার প্রদান করে , সাধারন শেয়ারের থেকে বেশি । সাধারণত অগ্রধিকারমুলক অধিকারগুলি হল নির্দিষ্ট লভ্যাংশের অধিকার, লাভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রেফারেন্স শেয়ারহোল্ডারদের প্রথম গুরত্ব দেওয়া এবং কোম্পানির লিকুইডেশন কমে যায় তখন তাদের মূলধন ফেরত দেওয়া ।
বিনিয়োগ শুরু করুন শেয়ার বাজারে – https://angel-one.onelink.me/Wjgr/139ovqs0
রিডিমযোগ্য প্রেফারেন্স শেয়ার (Redeemable Shares)
রিডিমযোগ্য প্রেফারেন্স শেয়ার শেয়ারহল্ডারদের মূল শেয়ারের মূলধন পরিশোধের অনুমতি দেয় ।কোম্পানি একটি নির্দিষ্ট তারিখে বা পরিচালকদের বিবেচনার ভিত্তিতে একটি সস্মত মুল্যে এই শেয়ারগুলি লিকুইড করতে পারে । এটি এমন শর্তে দেওয়া হয় যখন সংস্থাটি উদ্বেগজনক অবস্থায় থাকে ।
শেয়ারের নতুন ইস্যু থেকে প্রাপ্ত আয় ব্যবহার করে কোম্পানির মূলধন থেকে পরিশোধ করা যেতে পারে । পরিচালকদের অবশ্যই বিজফাইল (Bizfile)এর মাধ্যমে ই- সার্ভিসের “রিডিমেবল প্রেফারেন্স শেয়ারের রিডেম্পশনের নোটিশ” এর অধীনে একটি বিবৃতি জমা দিতে হবে ।
কনভার্টেবল প্রেফারেন্স শেয়ার (Convertible Preference Shares)
কনভার্টেবল প্রেফারেন্স শেয়ার সাধারণত একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য একটি নির্দিষ্ট লাভ্যাংশের অধিকার বহন করে । মেয়াদ শেষে, কোম্পানি এটিকে সাধারন শেয়ারে রূপান্তর করতে বা তাদের মতো রেখে দিতে পারে । রূপান্তর মুল্য কোম্পানির সংবিধানে নির্দিষ্ট করা আবশ্যক । একটি সাধারন শেয়ারের দাম বেড়ে গেলে রূপান্তর মুল্য অনুসরন করা হবে না । এটি মুলত শেয়ারহল্ডারকে কম দামে সাধারন শেয়ার কেনার অনুমতি দেয় । বিজফাইল এ প্রাসঙ্গিক লেনদেন হল শেয়ারের রূপান্তর ।
যুক্ত হোন আমাদের হোটাসঅ্যাপ গ্রুপে – JOIN NOW
ট্রেজারি শেয়ার (Treasury Shares)
ট্রেজারি শেয়ার হল সাধারন শেয়ার যা কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে অর্জন করে । কোম্পানিটি ট্রেজারি শেয়ারের মালিক হিসাবে তালিকাভুক্ত থাকাকালীন , এটি মিটিংয়ের অংশগ্রহন বা ভোট দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করার অনুমতি দেয়না এবং কোন ডিভিডেন্ড দেওয়া হয়না কোম্পানির তরফ থেকে ।
কোম্পানির মোট ট্রেজারি শেয়ারের সংখ্যা ইস্যু করা সাধারন শেয়ারের মোট সংখ্যার ১০শতাংশের মধ্য সীমাবদ্ধ । যেকোন অতিরিক্ত ট্রেজারি শেয়ার (১০শতাংশের বেশি) অবশ্যই ৬ মাসের মধ্য বাতিল বা নিস্পত্তি করতে হবে ।
কোম্পানি বিজফাইলএর (BIZFILE) মাধ্যমে S76K এর অধীনে ট্রেজারি শেয়ারের বাতিল বা নিষ্পত্তির নোটিশের অধীনে ট্রেজারি শেয়ার বিক্রি , বাতিল স্থানান্তর করতে পারে ।
আজকের ব্লগটি পড়ে আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে সকলকে পড়ার সুযোগ করে দিন ।
আরো পড়ুন –
ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস কিভাবে করবেন ?
Hi, I’m Pritam Saha. I have a passion for stocks and have spent my last 6+ years learning about the stock market. My Blog focuses on idea & concepts that improve the skills of the investor to manage their own money.
Pingback: সোয়েট ইক্যুইটি (Sweat equity) শেয়ার কী । আপনি কি সোয়েট ইক্যুইটি শেয়ার পেতে পারেন ? - Share Bazar Blog