Bond হল একধরনের চুক্তি বা ঋণপত্র ।যেখানে সরকার কিংবা কোম্পানি ঋণ হিসাবে একজন ব্যাক্তি বা কোম্পানির থেকে নির্দিষ্ট সুদ বা কুপন হারে টাকা নেবে, যা নির্দিষ্ট সময় পর কোম্পানি প্রদান করবে ।
Table of Contents
Bond কী ?
আপনি যখন নতুন বাড়ি তৈরি করেন কিংবা নতুন জিনিস কেনার ইচ্ছে হল কিন্ত সেই সময় আপনার কাছে সেই পরিমাণ টাকা না থাকলে আপনি ব্যাঙ্কের কাছে নির্দিষ্ট সময় ও নির্দিষ্ট সুদের হারে টাকা ধার নেন ঠিক এমনটাই হল বন্ড ।
যেখানে সরকার কিংবা কোম্পানি তার টাকার প্রয়োজন হলে বন্ড ইস্যু করে ব্যাক্তি কিংবা কোম্পানির কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে।
বন্ডে বিনিয়োগের সময়সীমা স্বল্পমেয়াদী ,দীর্ঘমেয়াদী এবং মেয়াদবিহীন হতে পারে ।বন্ড সরকারী বেসরকারী উভয় প্রকার হতে পারে ।
বন্ড কেনাবেচা এক্সচেঞ্জ মার্কেট এবং ওটিসি ( over the counter) উভয় জায়গায় হয়ে থাকে ।
বন্ডের প্রকার
Secured Bond:- এই বন্ডগুলো লোন দেওয়ার সময় সিকিউরিটি হিসাবে কিছু জমা নিয়েই লোণ দেয় ।এর ফলে কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলেও সিকিউরিটি বেচে লোনের টাকা ফেরত দেওয়া হয় ।
Unsecured Bond :- এই বন্ডগুলোর রিস্ক তুলনামুলকভাবে Secured bond গুলোর থেকে বেশি ।
Cumulative Interest :-ম্যাচুরিটি হবার পর মূল টাকা এবং সুদ একসঙ্গে ফেরত দেওয়া হয় ।
Non-cumulative Interest:- ইন্টারেস্ট প্রতি বছর দেওয়া হয় ।
Redeemable:- ম্যাচুরিটির তারিখ উল্লেখ থাকে এবং ফেস ভ্যালু যত আছে সেটাই ফেরত দেওয়া হয় ।
Irredeemable/perpetual :-ম্যাচুরিটির তারিখ উল্লেখ থাকে না । এই ধরনের বন্ড ভারতে অনুমতি নেই ।
আরো পড়ুন ETF কী ? সঠিক ETF ফান্ড পছন্দ করার 4 টি নিয়ম ।
বন্ড ইস্যুকারীদের প্রকার
ভারতে বন্ড ইস্যুকারীরা হলেন –
১) Govt. Bond :- এইসব বন্ডের ক্রেডিট রিস্ক শূন্য ।
২)Corporate Bond :- এইসব বন্ডের হাই ডিফল্ট রিস্ক ।
৩) PSU Bond :- এইসব বন্ডের ক্রেডিট রিস্ক নেই বললেই চলে ।PSU Bond তিন প্রকারের হয় –
i) PSU Taxable Bond
ii) PSU Tax-free Bond
iii)Section 54 EC :- Residential কিংবা Non-residential যেকোন প্রোপার্টি বিক্রি করে যদি প্রফিট ৫০লাখ টাকার কম হয় ,তাহলে কোনরকম ট্যাক্স দিতে হয়না ।এই বন্ডে টাকা রাখার পর যে ইন্টারেস্ট পাওয়া যাবে, সেটার ওপর ট্যাক্স দিতে হবে ।
বন্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন?
বন্ডে দুইভাবে বিনিয়োগ করা যায় –
Method 1- Indirect way :- মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বারা বিনিয়োগ করতে পারবেন। মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ডেবট মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন ধরনের বন্ডে বিনিয়োগ করে ।
সুবিধা- i)বিনিয়গের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয় না ।
ii) রিসার্চ করার প্রয়োজন হয় না ।
অসুবিধা-
i) ফান্ড পরিচালনার খরচ রয়েছে ।
আরো পড়ুন NPS(National Pension System) কী? জেনে নিন পেনশন পাবার নিয়ম ও যোগ্যতা ।
Method 2 -Direct way :- কোর্পরেট বন্ডে বিনিয়োগ করতে চাইলে –
১) ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট দ্বারা কিনতে পারবেন ।
২) কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক দ্বারা কিনতে পারবেন ।
৩) কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে কিনতে পারবেন ।
আপনার কেনা বন্ড ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে দেখাবে ।
Government Bond :-
গভর্মেন্ট বন্ডে বিনিয়োগ করতে চাইলে ডাইরেক্ট পোপুলার কমার্শিয়াল বাঙ্কের দ্বারা বিনিয়োগ করতে পারবেন । গভর্মেন্ট বন্ডের ইন্টারেস্ট ৭-৮% এর মধ্যে থাকে । গভর্মেন্ট বন্ড অনলাইনে কেনা যায় না অর্থাৎ স্টক মার্কেটে ট্রেড হয় না ।
বন্ড আপনাকে সার্টিফিকেট ফর্মে কিংবা ডিম্যাট ফর্মে দিতে পারবে । ম্যাচুরিটি হলেই আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা ক্রেডিট হয়ে যাবে ।
Tax Saving Bond
NHAI (National Highway Authority of India). REC (Rural Electric Commission), PFC (Power Finance Corporation Ltd )এই সমস্ত কোম্পানি ট্যাক্স সেভিং বন্ড ফান্ড ইস্যু করে ।
আপনি ব্যাঙ্কে ভিজিট করে নিতে পারবেন , যেসব ব্যাঙ্কের সাথে এদের টাই আপ থাকে । ট্যাক্স সেভিং ফান্ডের ইন্টারেস্ট রেট ৫-৫.৫% । এই বন্ডে বিনিয়োগ করলে আপনি লং টার্ম ক্যাপিট্যাল গ্রেইন থেকে রক্ষা পাবেন ।
কিভাবে ক্রেডিট রেটিং করে ?
বন্ডে বিনিয়োগের কারন হল ব্যাঙ্ক থেকে বেশি ইন্টারেস্ট অর্জন করে এবং স্টক মার্কেটের থেকে রিস্ক কম করা ।ক্রেডিট রেটিং থেকে বোঝা যায় বন্ডের রিস্ক কতটা এবং কতটা ইন্টারেস্ট পাওয়া যেতে পারে ।
ক্রেডিট রেটিং করার প্যারামিটারগুলি হল –
১) ফিন্যান্সশিয়াল স্ট্যাটমেন্ট পড়ে ।
২) অতীত এবং বর্তমানের ডেবট স্ট্যাটমেন্ট লক্ষ্য করে ।
৩)কোম্পানির ঋন শোধ করার ক্ষমতা ।
ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিগুলো হল –
⋅ ICRA
⋅CARE
⋅India ratings & Research
AAA-BBB রেটিং যুক্ত বন্ড ফান্ডগুলো সুরক্ষিত বন্ড হিসাবে বিবেচিত ।রিস্ক যত বেশি হবে রেটিং তত কমবে ।
ক্রেডিট রেটিং দেখা ছাড়াও যেসব বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত সেগুলি হল –
i) ফাইনান্সাশিয়াল স্ট্যাটম্যান্ট ।
ii) কোম্পানির ব্রান্ড
iii) কোম্পানির যথেষ্ট টাকা থাকে যেন লোন পরিশোধ করার ।
iv) গুগুলে গিয়ে সার্চ করে দেখুন কোম্পানির কোন ডিফল্ট রয়েছে কিনা ।
ট্যাক্স
Listed bond:- যেসব বন্ড স্টক মার্কেটে লিস্টেড রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ১২ মাসের পর যে লাভ হবে তা লং টার্ম ক্যাপিটাল গ্রেইন হিসাবে ধরা হয় ,১২ মাসের কম সময়ে যে লাভ হয় তা শর্ট টার্ম ক্যাপিটাল গ্রেইন ।
Unlisted Bond:- যেসব বন্ড স্টক মার্কেটে কেনাবেচা হয় না সেই সব বন্ডের ৩৬ মাসের পর যে লাভ হয় সেটি লং টার্ম ক্যাপিটাল গ্রেইন হিসাবে ধরা হয় এবং ৩৬ মাসের কম হলে সেটি শর্ট টার্ম ক্যাপিটাল গ্রেইন হিসাবে ধরা হয় ।
দুটি বন্ডের ক্ষেত্রেই লং টার্ম ক্যাপিটাল গ্রেইনে ১০ শতাংশ এবং শর্ট টার্ম ক্যাপিটাল গ্রেইনে আপনার ট্যাক্স স্ল্যাব অনুযায়ী যত ট্যাক্স ধার্য হয় সেই অনুযায়ী দিতে হবে ।
আজকের ব্লগে বন্ড সম্পর্কে আলোচনা করা হল। আশা করি এই ব্লগটি মন দিয়ে পড়লে আপনাদের বন্ড সম্পর্কে একটি পরিস্কার ধারনা তৈরি হবে।
আজকের ব্লগটি পড়ে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং আজকের বিষয় সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থেকে থাকলে কমেন্ট করে জানান ।
সতর্কীকরণঃ আজকের ব্লগে যে সমস্ত উদাহরন ব্যবহার করা হয়েছে কেবলমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য এবং পাঠকের তথ্যের জন্য ।বিনিয়োগ সম্পর্কিত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দয়া করে আপনার আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করুন ।
Hi, I’m Pritam Saha. I have a passion for stocks and have spent my last 6+ years learning about the stock market. My Blog focuses on idea & concepts that improve the skills of the investor to manage their own money.
Pingback: পিটার লিঞ্চঃ লার্ন টু আর্ন - Share Bazar Blog
Pingback: শেয়ার কত প্রকার ও কি কি ? - Share Bazar Blog