ফ্লেক্সিক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড এমন এক ধরনের ফান্ড যা আপনার পোর্টফলিওকে ডাইভারসিফাই করতে সাহায্য করে ।ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড হল সেইসব ফান্ড যা বাজারের মূলধন অনুসারে লার্জ ক্যাপ, মিড ক্যাপ এবং স্মল ক্যাপ কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করে ।
Table of Contents
ফ্লেক্সি ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড কি?
ফ্লেক্সি ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড এক ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড যা বিনিয়োগের জন্য পূর্ব নির্ধারিত কোন ধরনের নির্দেশিকা থাকে না , ফান্ড ম্যানেজার বাজারের পরিস্থিতি অনুসারে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে । ফ্লেক্সি ক্যাপে আপনার ফান্ড বৈচিত্র্যপূর্ণ করতে লার্জ ক্যাপ, মিড ক্যাপ এবং স্মল ক্যাপ, এই তিনটিতেই বিনিয়োগ করে ।
ফ্লেক্সি ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড কিভাবে কাজ করে ?
ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড কোন রকম মার্কেট ক্যাপ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট সংখ্যায় বিনিয়োগ করে না । যেকোন কোম্পানিতে ফেক্সি ক্যাপ ফান্ড বিনিয়োগ করতে পারে ।
মার্কেট ক্যাপ অনুযায়ী কোম্পানির ধরন
মার্কেট ক্যাপিটাইলাইজেন অনুযায়ী কোম্পানিগুলোকে তিনটি শ্রেনীতে বিভক্ত করা হয়- লার্জ ক্যাপ , মিড ক্যাপ এবংস্মল ক্যাপ ।
লার্জ ক্যাপঃ- যেই সব কোম্পানির মার্কেট ক্যাপ ২০ হাজার কোটি কিংবা তার বেশি, সেই সব কোম্পানিকে লার্জ ক্যাপ বলে ।
মিড ক্যাপঃ- যেই সব কোম্পানির মার্কেট ক্যাপ ৫ হাজার কোটির বেশি কিন্তু ২০ হাজার কোটির কম তাদের মিড ক্যাপ কোম্পানি বলে ।
স্মল ক্যাপঃ- যে সব কোম্পানির মার্কেট ক্যাপ ৫ হাজার কোটির কম , সেই সব কোম্পানিগুলকে স্মল ক্যাপ কোম্পানি বলে ।
আরো পড়ুন –ভালো শেয়ার চেনার উপায়
ফ্লেক্সি ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ডে কাদের বিনিয়োগ করা উচিত ?
ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ডে ফান্ড ম্যানেজাররা বাজারের দৃষ্টিভঙ্ঘি অনুযায়ী কোথায় বিনিয়োগ করা উচিত তা ঠিক করেন ।এই ফান্ডগুলো দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়গে সম্পদ তৈরি করতে সচেষ্ট হয় সুতরাং যে সব নিবেশক মাঝারি রিস্ক নিতে চায় তাদের জন্য এই ফান্ডগুলো উপযুক্ত ।
সাধারনত ৫-৭ বছরের জন্য এই ফান্ডগুলতে বিনিয়োগ করা উচিত ।
ফ্লেক্সি ফান্ডে বিনিয়োগের পূর্বে কোন কোন বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত?
Asset allocation:- আপনার নিশ্চয় জানেন যে ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য নির্দিষ্ট কোন বরাদ্দ থাকে না । বাজারের ওঠানামার ওপর নির্ভর করেই বিনিয়োগ করা হয় যাতে বিনিয়োগকারীদেরদের সর্বোচ্চ রিটার্ন দেওয়া সম্ভব হয় । তবে ৭৫% এক্যুইটিতে বিনিয়োগ করতে হবে ।
আপনার আর্থিক লক্ষ্যগুলি ঠিক করা এবং আপনার নিজের ঝুঁকি প্রোফাইল মুল্যায়ন করার পাশাপাশি, সেরা ফ্লেক্সি তহবিল বিনিয়োগ করার আগে আপনার নিন্মলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি –
Expense ratio:- সেরা ফ্লেক্সি ফান্ড বাছাই করা আগে আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে , ফান্ড টির expense ratio কত । সবসময় কম expense ratio ফান্ড পছন্দ করা উচিত ।
Experience of fund manager:- আপনি এই ফান্ডে বিনিয়োগের আগে ফান্ড ম্যানেজের কে আছে তা দেখে নিন এবং তার সাথে উনার এক্সপেরিয়েন্স গুগলে সার্চ করে দেখে নিন ।
Past Return:- বিনিয়োগের পূর্বে দেখে নিবেন বাজারের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সেই ফান্ডটি কেমন রিটার্ন দিতে সক্ষম হয়েছে, সেই দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
আজকের অ্যাটিক্যালে ফ্লেক্সি ফান্ড সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যদি আজকের অ্যাটিক্যালটি পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধু এবং পরিজনদের শেয়ার করে প্রত্যককে পড়ার সুযোগ করে দিন।
আরো পড়ুন –
ওভারনাইট মিউচুয়াল ফান্ড কাকে বলে?
ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে বিনিয়োগে কি করে পেনশন পাওয়া যায় ?
Disclaimer- আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে পাঠকের তথ্যের জন্য এবং শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে । বিনিয়োগ সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই আপনার আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ গ্রহন করুন ।
Hi, I’m Pritam Saha. I have a passion for stocks and have spent my last 6+ years learning about the stock market. My Blog focuses on idea & concepts that improve the skills of the investor to manage their own money.
Pingback: Personal Finance কি এবং কেন জরুরি।ব্যক্তিগত অর্থায়ন সহজ ভাবে পরিচালনার 5 টি সহজ উপায় - Share Bazar Blog
Pingback: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চাইছেন । এই 10 টি ভুল সম্পর্কে এক্ষনি সচেতন হওয়া জরুরী - Share Bazar Blog