আজ একটি সুপরিচিত সত্য যে চিকিৎসা খরচ অভূতপুর্বভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে – গত একবছরের চিকিৎসা খরচের মুদ্রাস্ফীতি ৬-৭% থেকে বেড়ে ১৫% এর বেশি হয়ে গেছে ।IRDAI কতৃক ২০১১ সালে প্রকাশিত একটি Health Insurance প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছিল যে বড় ধরনের রোগের জন্য চিকিৎসা ব্যয় ১৭ % বৃদ্ধির বার্ষিক বৃদ্ধিকে প্রতিফলিত হবে । সুতরাং আজকের দিনে একটি সেরা Health Insurance Policy একটি অপরিহার্য বিনিয়োগে পরিনিত হয়েছে ।এর ফলে মানুষের মধ্যেও সচেতনটা তুলমুলকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
কিভাবে একটি ভালো স্বাস্থ্য বীমা পছন্দ করবো ? এই প্রশ্নটি বেশিরভাগ মানুষই করেননা কারন এক্ষেত্রে তাকে একটু পরিশ্রম করতে হবে তার চেয়ে ঢের ভালো , ইন্সুরেন্স এজেন্ট যা বলবে তা শুনে করে নেওয়া । এই পদ্ধতিতেই সিংহভাগ মানুষ হেলথ ইন্সুরেন্স কিনে থাকেন ।
সমস্যাটি শুরু হয় তখনই যখন ক্লায়েন্ট য়ের ক্লেইমের প্রয়োজন হয় । তখনই ক্লায়েন্ট এর health insurance সম্পর্কে নানারকম অভিযোগ । অভিযোগের প্রধান কারন হল নিজে না জেনেই সেই পলিসিটি ক্রয় করে নেওয়া ।
সমস্যাটি হল ইন্সুরেন্স কোম্পানির Term & condition গুলো খুব ছোট ছোট করে লেখা থাকে , অনেকগুলো পৃষ্ঠা জুড়ে যা অনীহা হওয়ার কারনও বটে , এছাড়াও বাংলায় তেমন কোন ভালো অ্যাটিক্যাল নেই যা পড়ে হেল্থ ইন্সুরেন্স সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে ।
অনেকসময় এটাও লক্ষ্য করা যায় ইন্সুরেন্স এজেন্ট পলিসি বিক্রির লক্ষ্যে অনেক তথ্য সম্পর্কে কাস্টমারকে অবগত করান না কিংবা তারাও জানেন না ।
আজকের অ্যাটিক্যালটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা Health Insurance সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা পাবেন যা আপনাকে সঠিক হেল্থ ইন্সুরেন্স পছন্দ করতে সাহায্য করবে ।
Table of Contents
Health Insurance কাকে বলে ?
হেল্থ ইন্সুরেন্স হল একটি চুক্তি, যার জন্য একজন বীমাকারীর প্রিমিয়ামের বিনিময়ে একজন ব্যাক্তির কিছু বা সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা খরচ দিতে হয় । বিশেষ করে,স্বাস্থ্যবীমা সাধারণত চিকিৎসা, অস্ত্রোপাচার, অ্যাম্বুলেন্স খরচ এবং কখন কখন বীমাকারীর দ্বারা করা দাঁতের খরচ বহন করে ।বীমাকারীদের অসুস্থতা বা আঘাতের কারনের যে খরচ হয় তা সরাসরি হসপিটাল কিংবা বীমাকারীর অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হয় ।
একটি উদাহরনের দ্বারা সমগ্র বিষয়টি সহজভাবে বুঝে নেওয়া যাক , ধরুন আপনি ৫ লাখ টাকার একটি হেল্থ ইন্সুরেন্স কিনবেন , তারজন্য আপনাকে বছরে চার হাজার টাকার প্রিমিয়াম দিতে হবে । তার বিনিময়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোন খরচ হলে সেটির ভার বীমা কোম্পানি বহন করবে, তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে সেটি জেনো ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে হয়।
আরো পড়ুন NPS(National Pension System) কী? জেনে নিন পেনশন পাবার নিয়ম ও যোগ্যতা ।
Health Insurance কত ধরনের হয় ?
হেল্থ ইন্সুরেন্স সাধারণত সাত ধরনের হয়ে থাকে –
১) Individual Health Insurance
2) Family Floater Health Insurance
3) Group Health Insurance
4) Senior Citizens Health Insurance
5) Maternity Health Insurance
6) Critical Illness Insurance
7) Top up Health Insurance
আরো পড়ুন শেয়ার বাজারের সহজ পাঠ
আপনার Health insurance কেনার প্রয়োজন সুনিশ্চিত করাঃ
স্বাস্থ্যবীমা কেন কিনবেন ? তার কারন কি ? সেটি সম্পর্কে আপনি সুনিশ্চিত হলে, তবেই সঠিক স্বাস্থ্যবীমা পছন্দ করতে পারবেন। অন্যান্য ইন্সুরেন্সের মতো হেল্থ ইন্সুরেন্স বাছাই করা সহজ নয়। অন্যান্য ইন্সুরেন্সের নির্দিষ্ট কভারেজ থাকে কিন্ত হেল্থ ইন্সুরেন্স অনেকগুলো বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত থাকে। সুতরাং হেল্থ ইন্সুরেন্স অনেক বিচক্ষনতার সজ্ঞে পছন্দ করত হয় তা না হলে ইন্সুরেন্স কেনার প্রকৃত অর্থই বৃথা হয়ে যায় ।ইন্সুরেন্স কেনার আগে যে সব বিষয়গুলির ওপর নজর দেওয়া উচিত সেগুলি হল –
ইন্সুরেন্সযোগ্য সদস্য সংখ্যাঃ আপনার পরিবারে কত জন সদস্যের হেল্থ ইন্সুরেন্স প্রয়োজন আছে তা ঠিক করুন।সাধারনত প্রত্যেক সদস্যের ইন্সুরেন্স করা খুব প্রয়োজন। পরিবারে যদি বয়স্ক সদস্য থাকে তাহলে আপনাকে আলাদা করে পলিসি নিতে হবে আবার যদি পরিবারে অল্প বয়সীই সদস্য থাকে তাদের জন্য আলাদা করে পলিসি নিতে হবে ।অর্থাৎ পলিসি নেবার আগে পরিবারের সদস্য এবং তাদের বয়স কত সেই অনুযায়ী পলিসি পছন্দ করতে হবে ।
মোট কভারঃ আপনার পরিবারের সকলের স্বাস্থ্য কেমন আছে ? সেই অনুযায়ী আপনার কভার ঠিক করতে হবে । পরিবারের কারো ক্যান্সার, হার্ট সম্পর্কিত কোন রোগ থাকলে তাহলে আপনাকে উচ্চ কভার যুক্ত পলিসি কিনতে হবে ।
আন্তর্জাতিক কভারঃ আপনাকে যদি কর্মসূত্রে বিদেশ যেতে হয় তাহলে আপনাকে আপনার মুল পলিসির সাথে যুক্ত করতে হবে আন্ততর্জাতিক কভার ।
মাতৃত্বকালীন কভারঃ অনেক পলিসি কেনার সময় থেকে মাতৃত্বকালীন কভার থাকে আবার কোন কোন পলিসিতে যুক্ত করতে হয় । আপনি কোন পরিস্থিতিতে রয়েছেন সেই অনুযায়ী কভার ঠিক করতে হবে ।
নতুন কিছু যোগ করাঃ যে সমস্ত ফিচার মূল Health insurance থাকেনা , অ্যাড অন করে আপনি যুক্ত করে নিতে পারেন, তার জন্য সামান্য কিছু প্রিমিয়াম আপনাকে দিতে হবে। যেমন OPD, Day care, critical illness ayush benefit সহ বিভিন্ন পরিষেবা আপনি চাইলে যুক্ত করতে পারবেন ।
কিভাবে সেরা Health Insurance নির্বাচন করবেন ?
সেরা হেল্থ ইন্সুরেন্স পছন্দ করার আগে , আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে আপনা্র কি কি প্রয়োজন আছে যা এই ইন্সুরেন্স কেনার মাধ্যমে আপনার সেই সমস্ত প্রয়োজনকে কভার করবে ।
এরপর সঠিক হেল্থ ইন্সুরেন্স পছন্দ করার জন্য আপনাকে কিছু টেকনিক্যাল টার্ম জানতে লাগবে যা আপনাকে সেরা ইন্সুরেন্স পছন্দ করতে সাহায্য করবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক হেল্থ ইন্সুরেন্স পছন্দ করার কিছু প্যারামিটার সম্পর্কে –
♦Ayush Benefit:- আপনার যদি আয়ুশ বেনিফিট প্রয়োজন হয় , তাহলে পলিসিটি পড়ে জেনে নিন , এই পলিসিতে আয়ুশে ট্রিটমেন্টের সুবিধা রয়েছে কিনা।যদি না থাকে তাহলে অ্যাড অন করতে পারবেন ।
♦Day Care Procedures:- অনেক অপারেশন আছে যা ২৪ ঘন্টার মধ্যে করে ছেড়েও দেয়। আপনার পলিসিতে এই সুবিধা উপলব্ধ না থাকলে , আপনি ডে কেয়ারের সুবিধা পাবেননা। সুতরাং পলিসি কেনার সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখবেন ।
♦Domiciliary Treatment:- এই সুবিধাটি আপনার ইন্সুরেন্সে থাকলে আপনি বাড়িতে থেকেই ট্রিটমেন্ট পাবেন। আপনার অথবা আপনার পরিবারের যদি নাসিংহোমে ট্রিটমেন্ট নিতে অসুবিধা হয় তাহলে এই ফিচারটি অবশ্যই নেবেন।
♦Cashless Facility:-হেল্থ ইন্সুরেন্স কেনার কারন হল বিপদের সময় হঠাৎ করে যদি টাকার প্রয়োজন হয় তা সংগ্রহ করতে অসুবিধা হয়, সেই সময় চটজলদি চিকিৎসা চালু করার লক্ষ্যেই , হেল্থ ইন্সুরেন্স কেনার একটি অন্যতম উদ্দেশ্য।সুতরাং আপনি হেল্থ ইন্সুরেন্স কেনার সময় দেখে নেবেন, আপনার বাড়ির ২০ কিমির মধ্য যাতে কোন ক্যাশলেস নাসিংহোমের নাম থাকেে ।
♦CSR (Claim settlement ratio):-CSR দ্বারা বোঝা যায়, কোম্পানি কতগুলো ক্লেইম রিসিভ করেছে তার মধ্যে কতগুলো APPROVE করেছে।CSR অবশ্যই ৯০-৯৫% রয়েছে এমন হেল্থ ইন্সুরেন্স কিনুন তা না হলে ক্লেইমের সময় টাকা পাবেন কিনা তা সুনিশ্চিত করবে ।
♦Co-Payment:-এই ফিচারটি যাতে আপনার পলিসিতে না থাকে সেটা দেখে নেবেন ।যদি আপনার পলিসিতে এই ফিচার থাকে তাহলে , ধরুন আপনার পলিসিতে ১ লক্ষ টাকার উপর খরচ হলে co-payment 10% আছে, তাহলে আপনার যদি ১ লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয় তাহলে ১০% আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে ।
♦Cumulative Bonus :- আপনি পলিসি কিনেছেন কিন্ত কোন রকম ক্লেইমের প্রয়োজন হয়নি তাহলে আপনি Cumulative Bonus পাবেন , যদি আপনার পলিসিতে এই ফিচার থাকে । এই ফিচারের সুবিধা হল কোন ক্লেইম না হলে sum insured বাড়িয়ে দেওয়া হয় অথবা প্রিমিয়ামে ছাড় দেওয়া হয় কিংবা এই দুই ফেসিলিটি থাকে ।
♦ICR (Incurred Claim Ratio):-এই রেশিও দ্বারা বোঝা যায় একই বছর কতগুলো ক্লেইম দিয়েছে এবং এবং সেই বছর কত টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ।
♦Restoration Benefit:- হেল্থ ইন্সুরেন্স নেবার সময় একটি বিষয় মাথায় রাখবেন হেল্থ ইন্সুরেন্সের মধ্যে Restoration সুবিধা আছে কিনা ।
একটু সহজভাবে জেনে নেই কি এই Restoration , মনে করুন আপনি কোন বীমা কোম্পানির কাছ থাকে ৫ লক্ষ টাকার বীমা নিলেন । কিন্ত দেখা গেলো সেই বিমাকৃত রাশি কোন একজনের ভারী অসুস্থতার কারনে সেই রাশি শেষ হয়ে গেলে, পুনরায় অন্যজনের নামে সেই বীমা রাশি রিস্টোরেশন হয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থা আছে কিনা ।
♦Pre-Hospitalization & Post Hospitalization:- বীমা কেনার আগে দেখে নেবেন Pre-Hospitalization & Post-Hospitalization সুবিধা আছে কিনা ।এই সুবিধা আপনার বীমায় থাকলে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হবার ৩০-৬০ দিন আগের যাবতীয় OPD এবং বিভিন্ন ধরনের ডায়াগনস্টিক টেস্ট এবং ঔষধের খরচ বহন করে।
আর Post-Hospitalization মাধ্যমে হাসপাতাল থেকে রোগীকে ছুটি দেওয়ার ৬০-১৮০ দিন পর রোগীর বিভিন্ন ডায়াগস্টিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ঔষধের খরচ বীমা কোম্পানি দ্বারা বহন করা হয় ।
♦ Top up & Super top up :- একটি সেরা স্বাস্থ্য বীমা বাছাই করার আগে অবশ্যই দেখুন সেই কোম্পানিতে Top up & Super top up এর সুবিধা আছে কিনা ।
Room Rent Capping :- রুম রেট ক্যাপিং থাকলে আপনি পেশেন্টের রুম এবং আইসিউ ক্ষেত্রে ইন্সুরেন্স কোম্পানি দ্বারা নির্দিষ্ট করা রুম রেন্ট পাবেন , বেশি হলে আপনাকে বহন করতে হবে ।
উদাহরন সহ বিষয়টি সহজ করে বুঝে নেওয়া যাক , ধরুন আপনি একটি ৫ লক্ষ টাকার Health Insurance কিনেছেন সেখানে সাধারন রুম কিংবা কেবিনে আপনকে প্রতিদিন ৫০০০ টাকা দেবে আবার অন্যদিকে আইসিউ রুমে আপনাকে প্রতিদিন ১০,০০০ টাকা দেবে । যদি নাসিং রুমের কেবিন খরচ ৭০০০ টাকা এবং আইসিউ খরচ ১৫,০০০ টাকা হয় তাহলে অতিরিক্ত খরচ আপনাকে বহন করতে হবে ।
সুতরাং ইন্সুরেন্স কেনার সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন রুম রেন্ট থেকে অপারেশনের ক্ষেত্রেও যাতে কোন ক্যাপিং না থাকে ।
চলুন জেনে নেই এই ফিচার থাকলে আপনি কি কি সুবিধা পেতে পারেন- ধরুন আপানার ৫ লক্ষ টাকার বীমা করা আছে , আপনি এবং আপনার স্ত্রীর চিকিৎসা খাতে ৫ লক্ষ টাকাই খরচ হয়ে গেছে এবং আপনার প্ল্যান এখন শেষ হয়নি ।
Top up এবং Super top up নেওয়ার সুবিধা থাকে তাহলে আপনি আপনার হেল্থ ইন্সুরেন্স প্ল্যানের মধ্যে Top up করিয়ে পুনরায় ৫ লক্ষ টাকার বীমা রাশি Active করিয়ে নিতে পারবেন ।
আপনার প্ল্যানের মধ্যে যদি Super top up সুবিধা থাকে তাহলে আগের মতো সমস্ত সুবিধা চালু হয়ে যাবে ।এমনকি Pre-existing diseases এর জন্য কোন ওয়েটিং পিরিয়ড থাকবে না ।
সুতরাং আপনি যখন পলিসি নিজের জন্য কিংবা আপনার পরিবারের জন্য Health insurance plan কিনবেন তখন একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে উপরের সুবিধাগুলি দেখে বিচার ও বিবেচনা করে, আপনার জন্য কোনগুলি উপযুক্ত সেগুলি দেখেই পলিসি কিনবেন ।
যাইহোক আমার এই লেখাটি যদি পুরো মন দিয়ে পড়ে থাকেন আশা করি Health Insurance সম্পর্কে একটি সাধারন ধারনা পেয়ে যাবেন, পরবর্তীতে আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবো। যদি আজকের লেখটি তথ্যপূর্ণ মনে হয় তাহলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দেবেন ।
সতর্কীকরণঃ আজকের ব্লগে যে সমস্ত উদাহরন ব্যাবহার করা হয়েছে কেবলমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য এবং পাঠকের তথ্যের জন্য ।বিনিয়োগ সম্পর্কিত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দয়া করে আপনার আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করুন ।
Hi, I’m Pritam Saha. I have a passion for stocks and have spent my last 6+ years learning about the stock market. My Blog focuses on idea & concepts that improve the skills of the investor to manage their own money.
Pingback: বীমা কি । কেন করবেন বীমা? - Share Bazar Blog
Pingback: ২0 টি বাক্যে যা আপনাকে যেকোন ফিনান্স ডিগ্রির চেয়ে বিনিয়োগ সম্পর্কে আর শিখিয়ে দেবে - Share Bazar Blog