You are currently viewing স্টক মার্কেটের 25 টি গুরুত্বপূর্ন পরিভাষা

স্টক মার্কেটের 25 টি গুরুত্বপূর্ন পরিভাষা

আজ আমরা স্টক মার্কেটের কিছু গুরুত্বপূর্ন পরিভাষা সম্পর্কে আলোচনা করব। এই পরিভাষাগুলির সাথে আপনাদের সুপরিচিত থাকা খুব জরুরি তা না হলে , প্রতিটি পদক্ষেপে গুগুল সার্চ করে দেখে নিতে হবে ।

আপনি যদি এই সমস্ত পরিভাষা সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে থাকেন তাহলে বিনিয়োগ করতে এমনিতেই আত্নবিশ্বাস চলে আসবে ।

প্রথম অবস্থায় আমি যখন বিনিয়োগ করি তখন  বিভিন্ন অ্যাটিক্যাল কিংবা বিনিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে এই সমস্ত পরিভাষাগুলি  চলে আসতো তখন ঘাবড়ে  যেতাম এবং নিশ্চিতভাবে আত্নবিশ্বাসের অভাব দেখা যেত।

আমি সমস্ত বিনিয়োগকারী কে এই পরামর্শ দেব যে আপনারা এই সমস্ত পরিভাষা সম্পর্কে জানুন যা আপনাদের আত্নবিশ্বাসী করে তুলবে

স্টক মার্কেট কী?

স্টক মার্কেট হল এমন একটি  জায়গা যেখানে কোন ব্যাবসার শেয়ার অথাৎ অংশীদারী কিনতে পাওয়া যায়  যে বাজারে , সেই বাজার কে শেয়ার বাজার বলে ।

শেয়ার বাজার সাধারন ভাবে এমনি বাজারে মত নয় , এই বাজার অর্থাৎ শেয়ার কেনাবেচা যেখান থেকে হয় অর্থাৎ যারা করে তাদের ব্রোকার বলে । ব্রোকার হতে হলে S.E.B.I দ্বারা নথিভুক্ত হতে হয় ।

সেই সমস্ত শেয়ার কেনাবেচা হয় যেগুলো NSE ও  BSE দ্বারা নথিভুক্ত । NSE BSE  হল দুটো প্লাটফর্ম যেখানে বিভিন্নও কোম্পানির শেয়ারগুলো নথিভুক্ত থাকে ।

 

স্টক মার্কেটের গুরত্বপূর্ন পরিভাষা

স্টক মার্কেটে এইসব পরিভাষা সবসময় ব্যাবহত হয়ে থাকে। স্টক মার্কেটের বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে নবাগত নিবেষক সকলে এইসব পরিভাষা ব্যাবহার করে থাকেন ।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই সব পরিভাষার অর্থগুলি –

১) বুলঃ- এই শ্রেনী্র লগ্নিকা্রীদের মানসিকতা হল শেয়ারের দাম উপরের দিকে যাবে ।

 

২) বেয়ারঃ- এই শ্রেনী্র লগ্নিকারিদের মানসিকতা হল শেয়ারের দাম নীচে যাবে ।

 

৩) বিডঃ- স্টক কেনার জন্য আগেই থেকেই দাম দিয়ে রাখেন ।ধরুন টাটা ষ্টীল কোম্পানির শেয়ার মূল্য ২০০ টাকা চলছে, আপনার মনে হচ্ছে দাম একটু নীচে আসতে পারে , আপনি তখন ১৯০ টাকা প্রাইস দিয়ে রাখলেন, সেটিই হল বিড।

 

৪) আস্কঃ-বিডের ঠিক উল্টো হল আস্ক ।ধরুন আপনি এখন  টাটা ষ্টীলের শেয়ার কিনবেন দাম রয়েছে ২০০ টাকা, কিন্ত আপনি ২১০ টাকায় বিক্রি করতে চাইছেন , তার জন্য ২১০ টাকার অফার দিয়ে রাখতে পারেন , যখন শেয়ারের দাম ২১০ টাকা হয়ে যাবে তখন শেয়ার বিক্রি হয়ে যাবে । একে বলে আস্ক ।

 

৫) বুমঃ- যে সময় অধিক ক্রেতা এবং শেয়ারের দাম উপরের দিকে যাচ্ছে , সেই সময় টাকে আমরা বলি শেয়ার বাজারে এখন বুম চলছে ।

 

৬) বাস্টঃ- এটা হল বুমের ঠিক উল্টোদিক, অর্থাৎ কোন ক্রেতা নেই,  শুধু বিক্রেতা আর বিক্রেতার মানসিকতা হল যেকোন দামে শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া ।

 

৭) র‍্যালিঃ-যখন শেয়ারের দামে একটা জোয়ার আসে , মানে দাম ক্রমশই বাড়তে থাকে, তখন আমরা বলি  শেয়ার বাজারে র‍্যালি চলছে ।

 

৮) কারেকশনঃ- শেয়ারের দাম বাড়তে বাড়তে হঠাৎ যখন পড়তে থাকে , তখন আমরা বলি কারেকশন ।

 

৯) ট্রেড টাইমঃ- কখন আপনি কিনছেন বা বেচছেন ।

 

১০) বাজার দামঃ- স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার কী দামে কেনা বা বেচা হয়েছে ।

 

১১) প্রফিট টেকিংঃ- যখন বিনিয়োগকারী তার শেয়ার বেঁচে লাভটা ঘরে তোলেন , তখন আমরা সেটাকে বলি প্রফিট টেকিং ।

 

১২) ফেস ভ্যালুঃ-যে কোন কোম্পানি যখন শেয়ার ছাড়ে তখন তাদের নিজস্ব একটা দাম ধার্য করে ,যাকে বলা হয় ফেস ভ্যালু ।

 

১৩) সার্ভিস ট্যাক্সঃ- ট্যাক্স ব্রোকারেজের উপর ধার্য হয় । এটা সরকারের প্রাপ্য ।

 

১৪) ক্লোজিং আউটঃ- ধরুন আপনি শেয়ার কিনলেন কিন্ত কোন কারনে দাম দিতে পারলেন না । তাহলে ব্রোকার তার পাওনার জন্য সেই শেয়ারটি বেচে দিতে পারে, যাকে বলে হয় ক্লোজিং আউট ।

 

১৫) লিকুইডিটিঃ-লিকুইডিটি বলতে বোঝায় যেকোন স্টক কত সহজে বিক্রি করা যায়।

 

১৬) ট্রেডিং ভলিউমঃনিদ্দিষ্ট দিনে যে পরিমান শেয়ার লেনদেন হয় তাকে ট্রেডিং ভলিউম বলে ।

 

১৭) পোর্টফলিওঃ- পোর্টফোলিও কেবল একজন বিনিয়োগকারীর করা সমস্ত বিনিয়োগ সংগ্রহ ।

 

১৮) FII:- এরা হচ্ছে বিদেশি লগ্নিকারী যারা ভারতে লগ্নি করেন ।

 

১৯) এমাজিং প্লেয়ারঃ-ইন্সুরেন্স কোম্পানি বা পেনশন ফান্ডগুলির এখন শেয়ার বাজারে লগ্নি করার অধিকার আছে ।এদের এমাজিং প্লেয়ার বলে ।

 

২০) বোনাস শেয়ারঃ-  যখন কোন কোম্পানি তার লগ্নিকারীদের বিনামূল্যে আরোও শেয়ার দেয়, তাকে বলা হয় বোনাস শেয়ার ।

 

২১) ব্রোকারেজঃ- শেয়ার বাজারে শেয়ার কেনাবেচা করতে গেলে মেম্বারকে দালালি দিতে হয় কাজটা করে দেবার জন্য, যার নাম ব্রোকারেজ ।

 

২২) হেজঃ- বিনিয়োগের ঝুঁকি হ্রাস করার কৌশল ।

 

23) ইটিএফঃ- ইটিএফ হল এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড ।ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট থাকলেই বিনিয়োগ করতে পারবেন ।এটি এক ধরনের প্যাসিভ মিউচুয়াল ফান্ড।

 

২৪) আইপিওঃ- আইপিও(IPO) পুরো অর্থ হল Initial Public Offering ।কোন কোম্পানি বাজরে যখন প্রথম শেয়ার নিয়ে আসে তখন  সরাসরি বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করতে পারে ।এই প্রক্রিয়াটি হল আইপিও

 

২৫) ইনসাইডারঃ- এই গোষ্ঠীর কোম্পানির কিছু তথ্য আগের থেকে জানা থাকে, যা শেয়ারের দাম ওপর বা নিচের দিকে চালিত করতে সাহায্য করে এবং সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তারা তাদের কাজ চালিয়ে যায় । এদের ইনসাইডার বলে ।

 

আজকের ব্লগে ২৫ টি পরিভাষা সম্পর্কে আলোচনা করা হল যা আপনাদের  বিনিয়োগে অনেক সাহায্য করবে । পরবর্তীতে আরও অনেক পরিভাষা নিয়ে আলোচনা করব ।

আজকের আলোচনা সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান ।যদি ব্লগটি পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ।

This Post Has 2 Comments

Leave a Reply