You are currently viewing 6 Qualities of intelligent investors । বুদ্ধিমান নিবেষক হওয়ার প্রধান 6 টি বৈশিষ্ট্য

6 Qualities of intelligent investors । বুদ্ধিমান নিবেষক হওয়ার প্রধান 6 টি বৈশিষ্ট্য

6 Qualities of intelligent investors. বুদ্ধিমান নিবেষক হওয়ার প্রধান 6 টি বৈশিষ্ট্য, যে ব্যাবসায় বিনিয়োগ করছেন তা জানা, ব্যাবসাটি কে পরিচালিত করছে তা জানা, জনপ্রিয়তার জন্য নয় , মৌলিক মূল্যের জন্য বাছুন ইত্যাদি।

6 Qualities of intelligent investors. বুদ্ধিমান নিবেষক হওয়ার প্রধান 6 টি বৈশিষ্ট্য

বুদ্ধিমান শব্দটি তখনই ব্যাবহার হয় যখন তিনি বিচক্ষণ হন । শেয়ার বাজারে আপনি বিচক্ষণ নিবেষক তখনই হয়ে উঠবেন , যখন আপনি কোন শেয়ারে নিবেষের পূর্বে  সেই শেয়ারের যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহল থাকবেন ।আপনি যখন একটি ব্যাবসায় বিনিয়োগ করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে সেই ব্যাবসা কিভাবে অর্থোপার্জন করে এবং সেই ব্যাবসা কাদের দ্বারা পরিচালিত ও ভবিষ্যতে সেই ব্যাবসার পরিকল্পনা কি। চলুন তাহলে জেনে নেই কোন এমন ছয়টি বৈশিষ্ট্য যা আনুসরনের মাধ্যমে আপনিও  বুদ্ধিমান নিবেষক হয়ে উঠবেন ।

6 Qualities of intelligent investors

১) যে ব্যাবসায় বিনিয়োগ করছেন তা জানা ( Know the business you’re investing in )  :

শেয়ার বাজারে সফলতার মূলমন্ত্রই হল যে ব্যাবসায় আপনি বিনিয়োগ করবেন সেই ব্যাবসাটি  সমন্ধে জানা অর্থাৎ সেই ব্যাবসাটি কিভাবে অর্থোপার্জন করে এবং সেই ব্যাবসাটি আগামী ১০ বছরে একইভাবে অর্থোপার্জন করতে পারবে ? সেই ব্যাবসাটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি ? সেই ব্যাবসায় কি লাগাতার বিক্রি(sales) বৃদ্ধি পাচ্ছে ? সেই ব্যাবসাটির কি লাগাতার লাভ্যাংশ (profit)  বৃদ্ধি পাচ্ছে ?

আপনি বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই ব্যাবসায় বিনিয়োগ করবেন, তার সম্পর্কে খুঁটিনাটি প্রশ্ন করে সেই ব্যাবসা সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা লাভ হলে তবেই সেই ব্যাবসায় বিনিয়োগ করুন ।

২) ব্যাবসাটি কে পরিচালিত করছে তা জানা ( Know who runs the business ) :

আপনি গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য গাড়ি, মোটরসাইকেল , ট্রেন ও  ফ্লাইট  ব্যাবহার করেন। আপনি নিশ্চিন্তভাবে   গন্তব্যস্থলে তখনই পোঁছাবেন যখন চালকের আসনে কোন দক্ষ চালক দ্বারা পরিচালিত হবে ।

একইরকমভাবেই একটি ব্যাবসার সফলতা নির্ভর করে সেই ব্যাবসাটি কাহার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে । আপনি একজন বুদ্ধিমান নিবেশক হলে অবশ্যই সেই ব্যাবসার চালিকা শক্তি কে  সেই সম্পর্কে গভীরভাবে অনুসন্ধান করবেন ।যেইসব কোম্পানি বর্তমানে সফল হয়ে উঠেছে, তার প্রধান কারন হল দক্ষ পরিচালক । আপনাকে নজর দিতে হবে ব্যাবসাটি পরিবারতান্ত্রিক নাকি প্রোফেশনাল দ্বারা দ্বারা পরিচালিত। সেটা জানার পর তাদের সম্পর্কে গুগলে সার্চ করে তাদের সম্পর্কে জানুন । আগের বছরগুলির annual report পড়ুন , এর দ্বারা ম্যানেজমেন্টের পূর্বের যে পরিকল্পনা তা কতটা সফল করতে পেরেছে তা সম্পর্কে জানতে পারবেন ।

আরো পড়ুন শেয়ার বাজারের সহজ পাঠ

৩) শীঘ্রই ক্রয় বিক্রয়ের পরিবর্তে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করুন ( Invest for profits over time , not for quick buy & sell transation profit ) :

একজন  বুদ্ধিমান নিবেশক কখনই জুয়াতে অংশগ্রহন করে না , তিনি ব্যাবসায় বিনিয়োগ করেন । একটি ব্যাবসা এক মাস কিংবা এক বছরে সর্বোচ্চ শিখরে উঠতে পারেনা , তবে দামের ওঠানামা প্রতিদিন হয়ে থাকে । একজন  বুদ্ধিমান নিবেশক জানেন কোথায়  বিনিয়োগ করতে হয় ও কোথা থেকে দূরে থাকতে হয় ।

আপনিও যদি একজন  বুদ্ধিমান নিবেশক হতে চান তবে ব্যাবসায় দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করুন কারন একটি ব্যাবসা সফল হতে সময় লাগে ।

আরো পড়ুন Why retail investors lose money in the stock market./খুচরো বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বাজারে অর্থ হারানোর কারনঃ

৪)  জনপ্রিয়তার জন্য নয় , মৌলিক মূল্যের জন্য বাছুন ( choose investments for their fundamental value not their popularity )

শেয়ার বাজারে একটি চিরন্তন সত্য রয়েছে তা হল ৯০ শতাংশ মানুষ এখানে টাকা হারায় এবং ১০ শতাংশ মানুষ লাভবান হয় । শেয়ার বাজারে এই ৯০ শতাংশ ও ১০ শতাংশের আনুপাতের কারন হল নিবেষক কিসের ভিত্তিতে ব্যাবসায় বিনিয়োগ করছে । ৯০ শতাংশ মানুষ টাকা হারায় কারন ৯০ শতাংশ মানুষ শেয়ারের দামের ওঠানামার ওপর নির্ভর করে সেই শেয়ারে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় আবার আন্যদিকে ১০ শতাংশ  নিবেষক সেই নির্দিষ্ট শেয়ারে বিনিয়োগের পূর্বে সেই শেয়ার সম্পর্কে fundamental analysis  করার পর বিনিয়োগ করে ।

শেয়ার বাজারে একজন সফল ও অসফল  নিবেষকের পার্থক্য এখানেই নির্ধারণ হয়ে যায় ।

৫) সর্বদা সুরক্ষার মাজিন সহ বিনিয়োগ করুন ( Always with invest with margin of safety ) :

একজন  বুদ্ধিমান নিবেষক নিবেশের পূর্বে  Margin of safety দেখে নিবেন ।এখন প্রশ্ন হল Margin of safety কি? একটি শেয়ারের ভ্যালু এবং যে দামে আপনি শেয়ার ক্রয় করেছেন, এর মধ্যে যে পার্থক্য তাকে Margin of safety বলে ।

Margin of safety  নির্ধারণ করে দেয় আপনার বিনিয়োগ কতটা সুরক্ষিত । সুতরাং একজন বুদ্ধিমান নিবেষক হিসাবে প্রথমে Margin of safety নির্ধারণের পরেই আপনাকে শেয়ারে বিনিয়োগ করতে হবে ।

৬) নিজের বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণের প্রতি আস্থা রাখুন ( Have confidence in your own analysis & observation ) :

আপনি উপরিউক্ত পাঁচটি পদ্ধতি অবলম্বনের দ্বারা একটি জায়গায় এসেছেন । আপনার এখন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হল আপনার বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণের প্রতি আস্থা রাখুন । আপনি যদি আপনার বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণের প্রতি আস্থা না রাখেন তাহলে শেয়ারের সাময়িক দাম ওঠানামার ওপর আপনি ক্রয় বিক্রয়ের সিধান্ত নিয়ে নিবেন এর ফলাফল হিসাবে আপনাকে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে সুতরাং আপনার বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণের প্রতি আস্থা রাখুন ও  বুদ্ধিমান নিবেষক হয়ে উঠুন ।

একজন  বুদ্ধিমান নিবেষক হিসাবে আপনাকে ছোট ছোট বিষয় সম্পর্কে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে । এই ছোট ছোট বিষয়গুলি  পরবর্তীতে আপনার সফল নিবেষক গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে ।

tags: 6 Qualities of intelligent investors. 6 Qualities of intelligent investors.

Leave a Reply