You are currently viewing Personal Finance কি এবং কেন জরুরি।ব্যক্তিগত অর্থায়ন সহজ ভাবে পরিচালনার 5 টি সহজ উপায়

Personal Finance কি এবং কেন জরুরি।ব্যক্তিগত অর্থায়ন সহজ ভাবে পরিচালনার 5 টি সহজ উপায়

Personal finance অর্থাৎ ব্যাক্তিগত অর্থ পরিচালনা একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবনের অধ্যায় কিন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি সবাই কম গুরুত্ব দিয়ে থাকে ।আমাদের প্রত্যকের ধারনা র‍্য়েছে যে বেশি উপার্জন করছে সেই ধনী কিন্তু আদতে তা সঠিক নয় কারন আপনি যদি আপনার অর্থ সঠিকভাবে ম্যানেজ করতে না পারেন তাহলে ভবিষতে আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ।

আজকের ব্লগে আমি আপনাদের সাথে personal finance সম্পর্কে আলোচনা করব যা আপনাদেরকে ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার পাশাপাশি নিশ্চিত জীবন উপহার দিবে ।

Personal Finance কি ?

Personal Finance বা ব্যক্তিগত অর্থায়ন হলো এমন একটি আর্থিক ব্যবস্থাপনা যেখানে ব্যক্তিগত বা ফ্যামিলির সময়ের সাথে সাথে প্রতিটা ক্ষুদ্র কার্যকলাপের আর্থিক লেনদেন, বাজেট, সঞ্চয় এবং ব্যয়ের হিসাব রাখা হয় বিভিন্ন আর্থিক ঝুঁকি এবং ভবিষ্যত জীবনের বিভিন্ন ঘটনার জন্য।

যখন ব্যক্তিগত আর্থিক পরিকল্পনা করা হয় তখন প্রত্যেকের প্রয়োজনীয়তা বা সুবিধা অনুযায়ী বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেমন – ইন্সুরেন্স প্ল্যান , রি্টারমেন্ট প্ল্যান, এমারজেন্সি প্ল্যান, লাইফ গোল প্ল্যান ।

Personal Finance গুরুত্বপূর্ণ কেন?

Personal Finance গুরুত্ব অপরিসীম কারন এটি ঠিক করে আপনি ভবিষ্যৎতে কেমন থাকবেন । মানুষের জীবনে কখন বিপদ আসবে কেও বলতে পারেনা , আমরা পূর্বে থেকে যেটা পারি সেটা হল সেই সব বিপদকে কম করতে । বিগত দুই বছরে আমরা দেখেছি বহু মানুষ কর্ম হারিয়েছে তার সাথে চিকিৎসা সম্পর্কিত বিষয়ে অনিশ্চিত সমস্যার মধ্য দিয়ে গিয়েছে । আপনার ভবিষ্যতকে বিপদমুক্ত করতে অবশ্যই নিন্মের চারটি ফান্ড আজ থেকেই তৈরি করুন-

১) Emergency fund

2) Health insurence

3) Term insurance

4) Retirement plan

আরো পড়ুন – দ্য সাইকোলজি অফ মানি : মরগান হাউসেল

Personal Finance সফলভাবে পরিচালনার জন্য ৫টি সহজ উপায়

আপনার আর্থিক লক্ষ্য ঠিক করুন

আপনি কি জন্য সঞ্চয় করছেন তা আপনার কাছে পরিষ্কার থাকা উচিত তা না হলে আপনি লক্ষ্যহীন পথে চলিত হবেন।আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কতদিনের জন্য সঞ্চয় করছেন এবং সেই সঞ্চয়ের টাকা আপনি কি কাজে লাগাবেন তা আপনার কাছে পরিষ্কার থাকা উচিত ।

আপনাকে দুটি লক্ষ্য ঠিক করতে হবে স্বল্প মেয়াদী, দীর্ঘ মেয়াদী । এক্সেলশীট কিংবা ডাইরিতে আপনি আপনার সমস্ত লক্ষ্যগুলি লিখে রাখুন এবং সেই আনুযায়ী আপনার বিনিয়োগ সিদ্ধাত নিতে হবে ।

আপনার টাকা কত বছরে ডবল হচ্ছে তা জানার জন্য রুলস অফ ৭২ ব্যাবহার করতে পারেন । ধরুন, আপনি ১২ শতাংশ ইন্টারেস্ট পেয়েছেন, তাহলে আপনাকে ৭২ কে ১২ দিয়ে ভাগ করতে হবে , অর্থাৎ ৬ বছরে আপনার টাকা ডবল হবে, ঠিক একই রকমভাবে আপনি কত টাকা ইন্টারেস্ট পেতে পারেন সেই সংখ্যাকে ৭২ দিয়ে ভাগ করে আপনার টাকা কত দিনে ডবল হচ্ছে তা জানতে পারবেন ।

উদাহরনস্বরূপ, আপনি যদি ১০ বছরের বেশি সময়ের জন্য বিনিয়োগ করেন তাহলে শেয়ার বাজার কিংবা মিউচুয়াল ফান্ডের কথা ভাবতে পারেন ।

আর্থিক পরিকল্পনা তেরি করুন

বিনিয়োগের জন্য একটি আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করুন ।অর্থাৎ একটি চেকলিস্ট সেখানে বিনিয়োগের জন্য আপনার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম থাকবে এবং পূর্বের ভুলেরগুলিকে not to do লিস্টে রাখতে হবে ।

উদাহরনস্বরূপ, যদি আপনার বয়স এখন ৩০ হয়, তাহলে আপনাকে ৩০ বছরের জন্য একটি রিটারমেন্ট ফান্ড তৈরি করতে হবে যা ৬০ বছরে ম্যাচুরিটি হবে। আপনার যদি সন্তান থাকে তাহলে তাদের পড়াশুনার জন্য কত বছর বয়সে কত টাকা লাগতে পারে তা হিসেব করে আজ থেকেই সঞ্চয় করা শুরু করুন । নিজের এবং পরিবারে চিকিৎসার জন্য হেল্‌থ ইন্সুরেন্স কিনুন ।

ঋণ থেকে বিরত থাকুন

আপনার আর্থিক স্বাধীনতার প্রথম পদক্ষেপ হল ঋণ থেকে বিরত থাকা । আপনি যদি ঋণ থেকে বিরত থাকতে পারেন তাহলে ৮০ শতাংশ আর্থিক স্বাধীনতার লক্ষ্য পুরন করে ফেলেছেন ।

ঋণ থেকে বিরত থাকতে প্রথমেই আপনাকে সঞ্চয়ের বাজেট তৈরি করে নিতে হবে । প্রয়োজন ছাড়া ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহার বন্ধ করুন ।

বাজেট তৈরি করুন

এক সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে যে ৮০ শতাংশ মানুষ তারা ইনকাম করার পর তা খরচ করে, ঠিক তারপর সঞ্চয় করে , যার ফলে অনেকসময় সঞ্চয় হয়েই উঠেনা। কিন্তু নিয়ম হওয়া উচিত ইনকাম করার পর অন্তত ২০ শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত , তারপর খরচ ।

বাজেট তৈরি করার সময় ৫০ঃ৩০ঃ২০ এই নিয়মটি অনুসরন করুন । আপনার ইনকামের ৫০ শতাংশ অর্থ আপনার প্রয়োজনের জন্য খরচ করুন অর্থাৎ আপনার দৈনন্দিন জীবনে বেঁচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন তা ৫০ শতাংশ খরচ করুন, ৩০ শতাংশ অর্থ আপনার চাহিদা মেটানর জন্য যেমন- ঘুরতে যাওয়া, নতুন বাড়ি তৈরি, গাড়ি কেনা প্রভৃতির জন্য খরচ করুন । এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২০ শতাংশ অর্থ দিয়ে আপনি সঞ্চয় করুন ।

আর্থিক পরামর্শদাতার সাহায্য নিন

আমদের প্রত্যক্যের নির্দিষ্ট কর্মের মাধ্যমে সারাদিন অতিবাহিত হয়, সুতরাং ফিনান্স সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় নিয়ে স্টাডি করার সময় না পাওয়ার কথা তাই সঠিক ভাবে নিজেদের পোর্টফলিও তৈরি করা জন্য একজন আর্থিক পরামর্শ দাতার সাহায্য নেওয়া উচিত।

আজকের ব্লগে আমি আপনাদের সাথে Personal Finance কি এবং কিভাবে পরিচালনা করবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করলাম । আজকের ব্লগ থেকে যদি কোন লেসন নিয়ে আপনাদের ব্যাক্তিগত জীবনে অ্যাপ্লাই করেন তাহলে খুব সহজেই আর্থিক অস্থির অবস্থা থেকে মুক্তি পাবেন ।

আরো পড়ুন –

শেয়ার বাজারে 7 টি বৃহত্তম ভুল যা সহজে আপনি এড়াতে পারবেন

ভালো শেয়ার চেনার উপায়

ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড কী ?

মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন ?

This Post Has 2 Comments

Leave a Reply