Technical Analysis হল বাজারের ভাষা বোঝার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি ।টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস করে কিভাবে মুনাফা অর্জন করবেন এবং টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের ব্লগটি অবশ্যই পড়ুন ।
Table of Contents
Technical Analysis কী ?
আপনি কোথাও ঘুরতে যেতে চাইলেন , তারজন্য আপনার কাছে গাড়ি রয়েছে এবং চালাতেও জানেন কিন্ত সমস্যা হল আপনি সেখানে আগে জাননি । গন্তব্য যাবার জন্য আপনার কাছে কোন রুট ম্যাপ নেই । এমন হলে কী হতে পারে ?
আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন , রাস্তা ভুল হবার সম্ভবনা ৯৯ শতাংশ ।তাহলে আপনার উচিত আগেই রুট জেনে নেওয়া কিংবা গুগল ম্যাপের ব্যবহার করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া , তাহলেই নিরাপদভাবে গন্তব্যে পৌছনোর সম্ভাবনা থাকে ।
Technical Analysis অনেকটাই এইরকম , আপনার ট্রেডিং করার ইচ্ছে হল তার জন্য আপনার কাছে টাকাও রয়েছে কিন্ত সঠিক রুট ম্যাপ নেই । ঠিক এই কারনের জন্য ৯৯ শতাংশ নিবেশক সফল হতে পারেনা ।
সহজ ভাষায় Technical Analysis বলতে বুঝি অতীতের পারফরম্যান্স দেখে বর্তমান এবং ভবিষতের দাম অনুমান করার প্রক্রিয়া ।
টেকনিক্যাল অ্যানালাসিস দ্বারা অনুমান করা যায়, কখন প্রবেশ এবং কখন বাহির হওয়ার উপযুক্ত সময় । কোন নির্দিষ্ট দামে স্টপ লস দিতে হবে ।
আপনাদের মনে অনেকের প্রশ্ন আসছে কি করে অনুমান করা যায় ? যেমন ভাবে আবহাওয়াদপ্তর মেঘের অবস্থান এবং হাওয়ার গতিবিধি দেখে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে ঠিক তেমনিভাবেই ক্যান্ডেলের সাইজ এবং ভলিউম বার দেখেও দামের পূর্বাভাস করা যায় ।
তবে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস বিজ্ঞানসস্মত নয় কিন্ত খুবই ফলপ্রসূ এবং জনপ্রিয় একটি অ্যানালাইসিস পদ্ধতি ।
কোন গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজন রুট ম্যাপ, টেকনিক্যাল আনালাইসিস করার জন্য সেই রুট ম্যাপ চার্টের মাধ্যমে বোঝা যায়। চার্ট তিন ধরনের হয়ে থাকে –
লাইন চার্ট – এই চার্টের মাধ্যমে ক্লোজ প্রাইস দেখা যায় , হাই লো দেখা যায় না ।
বার চার্ট – বার চার্ট খুব প্রসিদ্ধ ।এই চার্টের দ্বারা হাই প্রাইস , ক্লোজ প্রাইস ,ওপেন প্রাইস এবং লো প্রাইস সম্পর্কে জানতে পারা যায় ।
ক্যানডেলিস্টিক চার্ট – গোটা বিশ্বজুড়ে সিংহভাগ ট্রেডার এই চার্ট ব্যাবহার করে থাকে ।এই চার্ট Japanese Candlestick Chart নামেও পরিচিত আছে ।এই চার্ট দ্বারা হাই, লো , ক্লোজ , ওপেন এই চারটি জানা যায় ।
Technical Analysis কিভাবে কাজ করে ?
আপনি যখন অন্য কোন অচেনা রাস্তায় বেড়িয়ে পরেন , রাস্তা না জেনেই তখন রাস্তা ভুল হবার সম্ভবনা বেড়ে যায় অনেকটাই । টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস অনেকটা নকশার মতো কাজ করে ।
আপনি না জেনেই যদি বিনিয়োগ করে দেন তাহলে অনেকটা অন্ধকারের মধ্যে তির চালানোর মতো হয়ে যায় ।যেসব নিবেশক অল্প সময়ের জন্য নিবেষ করে তাদের জন্য চার্ট দেখা অভ্যাস করা খুব গুরুত্বপূর্ণ ।
নিবিশককে জানতে হবে শেয়ার যখন নীচের দিকে যাবে ,তখন কোথায় সাপোর্ট(support) নিবে এবং বাজার যখন উপরে যাবে তখন কোথায় রেজিসটেন্স (Resistance) নেবে ।
চার্ট অ্যানালাইসিস করে শেয়ার কিনলে লসের পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে এবং মুনাফা হবার সম্ভবনা বেড়ে যাবে ।
আরো পড়ুন শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের প্রকার
Technical Analysis শেখার প্রয়োজনীয়তা ?
Technical Analysis না জেনেই শেয়ার বাজারে ট্রেডিং করা মানেই অস্ত্র না নিয়েই যুদ্ধ ক্ষেত্রে নেমে যাওয়ার মতো অবস্থা ।
আপনার কাছে যত টাকাই থাকুক না কেন টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস না জেনে নিবেশ করা মানেই, আপনার সব টাকা বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া ।
টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের মূল দুটি ভিত্তি হল সাপোর্ট এবং রেজিসটেন্স। এই দুটির উপর নির্ভর করে চার্ট তৈরি করা হয় ।
◊ যখন কোন শেয়ারের সাপ্লাই কম হয় এবং ডিমান্ড বেশি হয় , তখন তাকে Up trend বলে ।
◊ আবার যখন কোন শেয়ারের সাপ্লাই বেশি এবং ডিমান্ড কম , তখন জিনিসের দাম নীচের দিকে যায় , তখন তাকে Down trend বলে ।
◊ যখন কোন শেয়ারের সাপ্লাই এবং ডিমান্ড সমান থাকে , তখন তাকে Sideways trend বলে ।
আরো পড়ুন ইন্ট্রাডে ট্রেডিং কী ? কিভাবে সফল ট্রেডার হয়ে উঠবেন জেনেনিন সমস্ত খুঁটিনাটি ।
Technical Analysis কটি অংশ নিয়ে গঠিত ?
টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত –
• Candlestick Pattern
• Chart Pattern
• Technical Indicator
আজকের ব্লগে আমরা শুধু টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর নিয়ে আলোচনা করব ।
আপনি আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলুন একদম বিনামূল্যে
Technical Indicator
Technical Analysis করার জন্য হাজারো ইন্ডিকেটর রয়েছে । তাদের মধ্যে সবাই কোন কোন সময় কাজ করে আবার কোন কোন সময় কাজ করে না ।
তাদের মধ্যে কোনগুলো সবচেয়ে বেশি কাজ করে সেগুলো নিন্মে দেওয়া হল –
⇒ইন্ডিকেটর দুই ধরনের হয় –
১) Leading Indicator
2) Lagging Indicator
১) Leading Indicator – Intraday Trading করার জন্য এই ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা হয় ।এই ইন্ডিকেটর প্রাইস চেঞ্জ প্রেডিক্ট করে ।সবার প্রথম এই ইন্ডিকেটর buying এবং selling এর দিক নির্দেশ করে ।
Leading indicator গুলি হল –
• RSI
• Stochastic
• Williams % R
• Parabolic SAR
• Commodity channel index
২) Lagging Indicator – লং টার্ম এবং সুইং ট্রেডিংয়ের জন্য এই ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা হয় ।কোন টেন্ড বর্তমান চলছে তার দিক নির্দেশ করে ।
Lagging indicator গুলি হল –
•MACD
•ADX
•EMA
•Bollinger Bands
Technical Analysis করার সুবিধাঃ
i) প্রাইস পরিবর্তনের আগাম দিক নির্দেশ দেয় ।
ii) অতীতের দামের পরিবর্তনের সঙ্গে বর্তমানের দামের অনুমান করা যায় ।
iii) টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস করে এন্ট্রি , এক্সিট এবং স্টপ লস সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায় ।
আপনি আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলুন একদম বিনামূল্যে
Technical Analysis করার অসুবিধাঃ
i) এটি কোন বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি নয় ।
ii) কোম্পানি সম্পর্কে সামগ্রিক ধারনা পাওয়া যায় না , শুধু প্রাইসের অনুমান করা যায় ।
iii) দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই অ্যানালাইসিস উপযুক্ত নয় ।
আজকের ব্লগে টেকনিক্যাল অ্যানালিইসিস সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধরনা আলোচনা করলাম । পরবর্তী ব্লগে টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটরগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ।
আজকের আলোচনা সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকল কমেন্ট করে জানাবেন । যদি ব্লগটি পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন ।
সতর্কীকরণঃ আজকের ব্লগে যে সমস্ত উদাহরন ব্যবহার করা হয়েছে কেবলমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য এবং পাঠকের তথ্যের জন্য ।বিনিয়োগ সম্পর্কিত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দয়া করে আপনার আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করুন ।
Hi, I’m Pritam Saha. I have a passion for stocks and have spent my last 6+ years learning about the stock market. My Blog focuses on idea & concepts that improve the skills of the investor to manage their own money.
Pingback: Technical Indicator কী ? জনপ্রিয় 6 টি টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর সম্পর্কে জেনে নিন । - Share Bazar Blog
আপনাদের কোন টেনিং প্রতিষ্ঠান আছ?
আপাতত কোন ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান নেই ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ইউটিউবে নলেজ শেয়ার করার চেষ্টা শুরু করছি https://youtube.com/channel/UCvNqVzQtBs1NHR4nc6dx8zA ।
Pingback: ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস কি । বেসিক অফ ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস - Share Bazar Blog
Pingback: কিভাবে একজন সফল ডে ট্রেডার হবেন। ডে ট্রেডিং করার আগে ৬ টি নিয়ম জানুন - Share Bazar Blog