You are currently viewing মিউচুয়াল ফান্ড কী ? কীভাবে বিনিয়োগ করবেন জেনে নিন সমস্ত খুঁটিনাটি। Mutual Fund

মিউচুয়াল ফান্ড কী ? কীভাবে বিনিয়োগ করবেন জেনে নিন সমস্ত খুঁটিনাটি। Mutual Fund

Mutual fund কী সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং Mutual fund বাছাই করার সমস্ত নিয়ম সম্পর্কে বলা হয়েছে। Direct mutual fund এবং Regular mutual fund এর পার্থক্য আলোচনা করা হয়েছে।বিভিন্ন বিনিয়োগ মাধ্যমগুলি সম্পর্কে বলা হয়েছে ।

 

বাঙালি মানেই ভ্রমনপ্রিয় । বাঙালিরা অবকাশ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের উদ্দেশ্য। ঘুরতে যাবার জন্য প্রয়োজন যানবাহন যা আপনাকে আপনার গৃহ থেকে ভ্রমনস্থলে পোঁছে দেয় ।

যানবাহন হল এই মিউচুয়াল ফান্ড যা আপনাকে আপনার লক্ষ্য পোঁছে দিতে সাহায্য করবে ।যাত্রা কেমন হবে তা নির্ভর করবে আপনার যানবাহনের উপর ঠিক তেমনিভাবেই মিউচুয়াল ফান্ড কেনার পূর্বেই আপনি নিজেকে কিছু প্রশ্ন করুন যা আপনাকে সঠিক যানবাহন পছন্দ করতে সাহায্য করবে । মিউচুয়াল ফান্ড পছন্দ করবার পূর্বে যেসব প্রশ্ন নিজেকে করবেন, সেগুলো হল –

১) আপনি কেন মিউচুয়াল ফান্ড কিনছেন ?

 

২)আপনি কতটা রিস্ক সহ্য করতে পারবেন ?

 

৩)আপনি কত দিনের জন্য বিনিয়োগ করতে চান ?

মিউচুয়াল ফান্ড কী ?

মিউচুয়াল ফান্ড এমন একটি ফান্ড , যেখানে আমার এবং আপনার মতোই অনেক বিনিয়োগকারীদের থেকে, একসাথে পারস্পরিকভাবে টাকা নিয়ে মার্কেটের অন্যান্য সম্পদ যেমন স্টক , গোল্ড , বন্ড , মানি মার্কেটে আবার বিনিয়োগ করা হয় ।

এভাবে আপনার টাকা দিয়ে মার্কেটের অন্যান্য সম্পদে বিনিয়োগ করার জন্য অনেক ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানি বা AMC রয়েছে ।

প্রত্যেক মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পনির আলাদা আলাদা ফান্ডগুলি পরিচালনা করার জন্য একটি করে প্রফেশনাল ফান্ড ম্যানেজার বা পোর্টফোলিও ম্যানেজার থাকে ।

 

প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর নিজস্ব ইউনিট থাকে, যা হোল্ডিংয়ের একটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। এই সমষ্টিগত বিনিয়োগ থেকে উৎপন্ন আয় , ফান্ডের নেট অ্যাসেট ভ্যালু বা NAV গণনা করা হয়। নিদিষ্ট ফান্ড খরচ বাদ দেওয়ার পর বাকি অর্থ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আনুপাতিত হারে বিতরন করা হয়।

সহজভাষায় বলতে গেলে আপনি SBI, HDFC,AXIX,ICICI প্রভৃতির মতো AMC তে নিদিষ্ট স্কিম পছন্দ করার পর সেখানে বিনিয়োগ করলেন, সেই AMC তে একজন করে ফান্ড ম্যানেজার থাকে যারা আপনার অর্থকে বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করে।যখন আপনি টাকা তুলে নিতে চান তখন ফান্ডের সামান্য খরচ কেটে নিয়ে আপনাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ।

 

আর পড়ুন ইনডেক্স ফান্ড কি এবং কিভাবে ইনডেক্স ফান্ডে বিনিয়োগ করবেন ?

 

মিউচুয়াল ফান্ড পছন্দ করার কিছু ফ্যাক্টরঃ

বর্তমানে ডিজিটাইলজেশনের যুগে আমরা একটি হেডফোন নেবার আগে বহু রিসার্চ করে থাকি কিন্ত দেখা যায় আমরা সঞ্চয়ের সময় ততটা সতর্কতা গ্রহন করিনা।মিউচুয়াল ফান্ড পছন্দ করার সময় যেসব বিষয়গুলোর ওপর নজর দেওয়া উচিত সেগুলি সম্পর্কে নিন্মে আলোচনা করা হল –

 

১)Time Horizon :

মিউচুয়াল ফান্ডে প্রবেশ করার পূর্বে আপনাকে প্রথমে ঠিক করে নিতে হবে আপনি কেন মিউচুয়াল ফান্ডে প্রবেশ করবেন অথাৎ আপনার গোল(goal) কি আছে?

যা আপনাকে কত সময়ের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে সেই সম্পর্কে ধারনা দেবে । সময়ের উপর নির্ভর করে আপনার বিনিয়োগ নির্ধারণ হবে ।আপনি যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করেন তাহলে equity বাছুন , যদি আপনি অল্প সময়ের জন্য বিনিয়োগ করেন তাহলে debt ফান্ড উপযুক্ত ।

 

২)Risk Tolerance:

আপনি কত সময়ের জন্য বিনিয়োগ করবেন এটা ঠিক করে নেবার পর আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে আপনি কতটা রিস্ক সহ্য করতে পারবেন।আপনার রিস্ক সহ্য করার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে ফান্ড বাছাই নির্ভর করবে।

 

৩) Compared same catagory:

ধরুন আপনি SBI BLUECHIP EQUITY FUND  রিসাচ করে শর্ট লিস্ট করেছেন। এখন আপনাকে একইরকমের ফান্ডের প্যারফরমান্স কেমন হচ্ছে তা তুলনা করে দেখতে হবে ।

 

৪) Consistancy of performance:

যে ফান্ডগুলো আপনি শর্ট লিস্ট করেছেন তার ৫-১০ বছরের প্যারফরমান্স লাগাতার কেমন করছে তা দেখতে হবে ।যে সমস্ত ফান্ড রিটার্নে consistancy বজায় রেখেছে ,সেইসব ফান্ডেই বিনিয়োগ করুন ।

মিউচুয়াল ফান্ড কী ? কীভাবে বিনিয়োগ করবেন জেনে নিন সমস্ত খুঁটিনাটি

৫) Fund Manager Experience :

প্রত্যেক ফান্ড পছন্দ করবার পূর্বে সেই ফান্ডের ফান্ড ম্যানেজার কে আছে তা দেখতে হবে । সেই ফান্ডের ফান্ড ম্যানেজারের যোগ্যতা ও অভিঙ্গতা যাচাই করার পরই ইনভেস্ট করা উচিত ।

মিউচুয়াল ফান্ড কী ? কীভাবে বিনিয়োগ করবেন জেনে নিন সমস্ত খুঁটিনাটি

 

৬) Expense Ratio :

মিউচুয়াল ফান্ড পছন্দ করার পূর্বে expense ratio  সেই ফান্ডের কত সেটা দেখতে হবে।expense ratio কখন ১-২% এর বেশি হওয়া উচিত নয় । Expense ratio হল ফান্ড পরিচালনা করার খরচ।সেটা বেশি হলে আপনার মূল রিটার্নের উপর প্রভাব পরবে সুতরাং বিনিয়োগের পূর্বেই expense ratio চেক করুন ।

 

৭) Exit Load :

বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ডে exit load থাকেনা তবে একবছরের মধ্যে আপনি যদি বেরিয়ে আসতে চান তবে একটা ফ্রি দিতে হয় ।বিনিয়োগের পূর্বে  exit load নেই কিংবা খুব সামান্য আছে এমন ফান্ডেই বিনিয়োগ করুন ।

আরো পড়ুন শেয়ার বাজারের সহজ পাঠ

Direct fund vs Regular fund :

মিউচুয়াল ফান্ড যখন বাই করতে যাবেন তখন দুই ধরনের অপশন পাবেন একটি ডাইরেক্ট এবং অন্যটি রেগুলার । সেই সময় অনেকে চিন্তায় পড়ে যায় কি করা উচিত।আজকের আলোচনাতে সেই সম্পর্কে সমস্ত কনফিউশন দূর হয়ে যাবে।

ডাইরেক্ট ফান্ড :

Direct fund হল সরাসরি বিনিয়োগ অথাৎ বিনিয়োগের জন্য কারো সাহায্যের প্রয়োজন হবে না । আপনি নিজেই রিসার্চ করে নিজেই বিনিয়োগ করতে পারবেন ।এক্ষেত্রে আপনাকে আলাদা কোন চার্জ দিতে হবেনা ।

 

রেগুলার ফান্ডঃ

রেগুলার ফান্ড হল কোন মিউচুয়াল ফান্ড এক্সপার্টের রিসার্চের ওপর নির্ভর করে আপনি ফান্ড বাই করেন। বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত পরামর্শ তারা প্রদান করেন ।আপনার সঠিক ফান্ড পছন্দ করার মতো ঞ্জান কিংবা সময় নেই। এক্ষেত্রে আপনাকে একটা চার্জ দিতে হয় ।

এখন আপনি ঠিক করুন আপনি কোন জায়গায় অবস্থান করছেন ।

 

কীভাবে আপনি মিউচুয়াল ফান্ড কিনবেন ?

মিউচুয়াল ফান্ড কেনার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম র‍ইয়েছে। সেই মাধ্যমগুলি হল-

১) মিউচুয়াল ফান্ড ডিস্টিবিউটার দ্বারা ।

 

২)কোন থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট দ্বারা । যেমন- CAMS, Groww   ।

 

৩)Direct কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে বাই করতে পারবেন । যেমন – SBI MUTUAL FUND HDFC MUTUAL FUND   ।

 

আপনি দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যেকটি জিনিস কেনার পূর্বে যেমন বিভিন্ন জায়গায় যাচাই করার পর সেটি কিনেন ঠিক তেমনিভাবে মিউচুয়াল ফান্ড কেনার পূর্বে উপরিউক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করেই কিনুন তা হলেই আপনি নির্দিষ্ট সময় পর সঠিক রিটার্ন পাবেন।উপরিউক্ত বিষয় গুলো জানার জন্য Moneycontrol এই ওয়েবসাইটির ব্যাবহার করতে পারেন ।

 

সতর্কীকরণঃ আজকের ব্লগে যে সমস্ত উদাহরন ব্যাবহার করা হয়েছে কেবলমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য এবং পাঠকের তথ্যের জন্য ।বিনিয়োগ সম্পর্কিত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দয়া করে আপনার আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করুন ।

This Post Has 8 Comments

Leave a Reply