You are currently viewing কেমন হয় যদি অবসর নেওয়ার সময় কোটিপতি হয়ে যান ।আর্থিক পরিকল্পনা শুরু করুন আজ থেকেই

কেমন হয় যদি অবসর নেওয়ার সময় কোটিপতি হয়ে যান ।আর্থিক পরিকল্পনা শুরু করুন আজ থেকেই

আদিত্য বাবু ব্যাঙ্কে কর্মরত একজন মধ্যবিত্ত বাঙালি। মাস গেলে যে মাইনে তিনি পান তা দিয়ে দুই ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, বৃদ্ধা মায়ের চিকিৎসার খরচ দিয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই সংসার চালিয়ে নেন। ঠিক যেমন আর পাঁচজন মধ্যবিত্ত বাঙালি করে থাকেন। 

তবে অবসর নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত। জীবনের একটা বড় অংশই তো কাজ আর উপার্জনের পেছনে ছুটে চলেছেন। তিনি চান অবসর জীবন টা চিন্তা মুক্ত হয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন, বেড়াতে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি আর কি। 

কিন্তু এ তো আর ছেলের হাতের মোয়া নয়। অবসর জীবনে অর্থের চিন্তা থেকে নিষ্কৃতি চাইলে তার প্রস্তুতি ও করতে হবে এখন থেকেই। 

শুধু আদিত্য বাবু নন, চাকুরিজীবী যে কোন মধ্যবিত্ত ব্যক্তিই অবসরের কথা ভেবে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটাই  যে অধিকাংশ চাকুরীজীবী ব্যক্তিই তাদের অবসরের জন্য সঠিক আর্থিক পরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হন। ফলে তারা অবসর জীবনে আর্থিক স্থিতিশীলতা থেকে বঞ্চিতই থেকে যান।

আপনি নিশ্চয়ই চান না অবসর জীবন নিয়ে শুধুই দুশ্চিন্তা করে যেতে। দুশ্চিন্তা থেকে বেরিয়ে দেখুন তো এমন কিছু প্ল্যান করা যায় কিনা যা আপনাকে অবসরে অর্থের ভাবনা থেকে মুক্তি তো দেবেই, আবার আপনি হয়তো কোটিপতি ও হয়ে যেতে পারেন। কি বিশ্বাস করতে পারছেন না তো? এমনটা সত্যিই সম্ভব যদি আপনি এখন থেকেই সুষ্ঠু আর্থিক পরিকল্পনা করতে পারেন তাহলে অবসরে আপনিও একজন কোটিপতি হয়ে বাকি জীবনটা উপভোগ করতে পারবেন। 

আর্থিক স্থিতিশীল একটি অবসর জীবন কাটাতে চাইলে তার পরিকল্পনা আপনাকে শুরু করতে হবে এখন থেকেই। এখন আপনি যতখানি পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জনে সক্ষম, বার্ধ্যক্যে তো আর ততটাই সক্ষম থাকবেন না। তাই এখনকার আয়ের পুরোটাই ভোগের জন্য খরচ না করে কিছুটা সঞ্চয় করুন আপনার সুরক্ষিত ভবিষ্যতের জন্য। অবসরের সময় বিপুল মূলধন সঞ্চয় করতে চাইলে আপনাকে কিছু বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেগুলি-

 আপনার আর্থিক লক্ষ্য সুস্পষ্ট করুন

” Nobody plans to fail, but plenty of people fail to plan.”

  ব্যর্থ হতে কেউ পরিকল্পনা করে না, কিন্তু অধিকাংশ ব্যক্তিই পরিকল্পনা করতে গিয়েই ব্যর্থ হন। অবসরের পর আপনি ঠিক কি কি করতে চাইছেন তার উপর আপনার আর্থিক লক্ষ্য নির্ভরশীল। হতে পারে আপনি বিশেষ বিশেষ কিছু জায়গায় ভ্রমণ করতে চান, বা আপনি কোন ফার্ম হাউস তৈরি করতে চান, অথবা হতে পারে আপনার এলাকায় আপনি একটি স্কুল তৈরি করতে চান। লক্ষ্য যা কিছুই হোক না কেন টা আপনার কাছে সুস্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন এবং এর জন্য আপনার কি পরিমান অর্থের প্রয়োজন হতে পারে সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা থাকা জরুরী। 

ভারতীয় গৃহবধূদের বিনিয়োগের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

 ঠিক কোন বয়সে আপনি অবসর নেওয়ার কথা ভাবছেন?

সাধারণত চাকুরীজীবী লোকেরা ৬০ বছর বয়সেই অবসর গ্রহন করে থাকেন। তবে কোন কোন বিশেষ ক্ষেত্রে এর ভিন্নতা দেখা যায়। তবে আপনি কোন বয়সে অবসর নিতে চাইছেন তা কিন্তু সম্পূর্ণভাবে আপনার উপর নির্ভরশীল। হতেই পারে আপনি এমন কোন ফিনান্সিয়াল প্ল্যান করলেন যা আপনাকে আরো ১০ বছর আগে অবসর নিতে সাহায্য করতে পারে। 

 আপনার অবসরের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা কেন প্রয়োজন?

দৈনন্দিন জীবনে আপনার ও আপনার পরিবারের বেঁচে থাকার একটা নির্দিষ্ট পরিমান ব্যয়ের প্রয়োজন আছে। এটা আপনার প্রাথমিক চাহিদাগুলি পূরণের জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু এখন যে পরিমাণ অর্থে আপনার দিন চলে যাচ্ছে, অবসরের পরেও কি সেই অর্থে কুলোবে? ভেবে দেখুন মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে পেরে উঠবেন কিনা। আবার আপনার যদি বিশেষ কোন লক্ষ্য পূরণ করার থাকে যাতে বিপুল অর্থ প্রয়োজন। তাহলে আপনাকে এখনই মিলিয়ে নিতে হবে ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে কতটা  অর্থের যোগান আপনার দরকার। তবেই আপনি সঠিক আর্থিক পরিকল্পনা করতে পারবেন। 

বিনামূল্যে আপনি আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলুন Angel One এর সাথে – https://tinyurl.com/y38db6k9

 পরিকল্পনা করে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি সঞ্চয় শুরু করে দিন

অবসরের জন্য পরিকল্পনা এবং সেই পরিকল্পনা মাফিক অর্থ সঞ্চয় কিন্তু কোন অল্প সময়ের কাজ নয়। এটি একটি দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া। অবসরের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে সুনিশ্চিত করতে হলে আপনাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিকল্পনা করে সেই অনুযায়ী সঞ্চয় শুরু করে দিতে হবে। যত বেশি সময় দেবেন আপনার জমাকৃত অর্থের পরিমাণও ততই বেশি হবে। অবসর যাপনে যদি আপনি আপস করতে না চান তবে আজই আর্থিক পরিকল্পনা শুরু করে দিন। 

 আর্থিক পরিকল্পনাটির নিয়মিত পর্যালোচনা করতে ভুলে গেলে চলবে না

পরিকল্পনা করলেন, সেই পরিকল্পনা মত সঞ্চয়ও করছেন। কিন্তু তা বলে ট্র্যাক করতে ভুলে গেলে একেবারেই চলবে না। যে আর্থিক লক্ষ্য পূরণের জন্য আপনি বর্তমানের ভোগ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করে সুরক্ষিত ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের পথে নেমেছেন, তা আদৌ কি সঠিক দিকে এগোচ্ছে? আর্থ- সামাজিক পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক বাজার এই সব কিছুর দ্বারা মার্কেট প্রত্যেক দিন পরিবর্তিত হচ্ছে। সেই সব দিকের প্রতি খেয়াল রেখে আপনার আয় ও ব্যয়ের দিকগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে আপনার আর্থিক পরিকল্পনা পর্যালোচনা করুন। 

সুরক্ষিত অবসরের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন। আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধবের মত নিয়ে অনেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যা আগামী দিনে আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। বিনিয়োগের আগে যথাযথ গবেষণা করুন। আপনার সঞ্চয় যেন সঠিক জায়গায় হয় এবং তার থেকে আপনি যেন কাঙ্খিত অর্থরাশি পেতে পারেন সেজন্য কোন ভালো বিশেষজ্ঞের পরামর্শের কোন বিকল্প নেই।

আজকের অ্যাটিক্যালটি পড়ে আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনদের কাছে শেয়ার করবেন। আজকের বিষয় সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ।

আরো পড়ুন –

কিভাবে আপনার বিনিয়োগ পরিকল্পনা করবেন ?

মিউচুয়াল ফান্ড কাকে বলে ?

পেনশন কিভাবে পাবেন ?

বন্ড কী এবং কিভাবে বিনিয়োগ করবেন ?

This Post Has One Comment

Leave a Reply